আরও কড়া রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ মেদিনীপুরের বৈঠক থেকে বেশ কিছু কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। সঙ্গে রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়ানোর নতুন দিশাও দেখালেন তিনি।
সারা দেশের মধ্যে বাংলায় সবথেকে বেশি সাইকেল চলে। অথচ, রাজ্যে সাইকেল তৈরির কোনও কারখানা নেই। ১০ থেকে ১১ লক্ষ সাইকেল প্রতিবছর দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। বাইরে থেকে বেশি টাকা দিয়ে সাইকেল কিনতে হয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, খড়গপুরে রাজ্যের প্রথম সাইকেল হাব তৈরি হবে। এই হাব তৈরির পর রাজ্যে কর্মসংস্থানও অনেক বাড়বে বলে জানালেন তিনি। এই কারখানার জন্য খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ককে বেছে নিয়েছেন তিনি।
এদিকে এদিন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে আরও একবার কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরালে FIR করা হবে। এর ভিত্তিতে প্রয়োজনে নার্সিংহোমের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
![প্রশাসনের প্রতি আরও কড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে কর্মসংস্থানের নতুন দিশা 1 প্রশাসন](https://www.banglakhabor.in/wp-content/uploads/2022/05/Mamata-banerjee-PTI-1024x683.jpg)
এদিকে রাজ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে DIG দের উদ্দেশে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর মতে, রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। থেকে যাচ্ছে গাফিলতি। DIG-রা নিজ নিজ এলাকায় থাকছেন না, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। DIG, IG-রা সারাক্ষণ কলকাতাতেই রয়েছেন। রাজ্য পুলিশের DG মনোজ মালব্যকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, একটা সিস্টেম করতে। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক উপলক্ষে শুধু এলাকায় এলে হবে না। জঙ্গলমহলের পাশে ঝাড়খণ্ড সীমানা রয়েছে। অনেক দুষ্কৃতীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ট্রেনে আসে, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন তিনি। বলেছেন মাঝে মাঝে নাকা চেকিং করতে।
অন্যদিকে RSS প্রধান মোহন ভাগবত রাজ্যে থাকাকালীন যেন কোনওভাবে দাঙ্গা না বাধে বা তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিয়েও সতর্ক করেছেন মমতা।
একইসঙ্গে এদিন কেন্দ্রের ওপরেও চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র থেকে পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, এই রাজ্যের প্রতি চরম গাফিলতি রয়েছে কেন্দ্রের।
শুধু কেন্দ্র নয়, নিজের পূর্ত দফতরের কাজের খরচ নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি কমিউনিটি হল আর দুটি গেটের জন্য ৩২ কোটি টাকা খরচ হয় না। ২ কোটি থেকে ৬ কোটি টাকায় সব হবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি কালীঘাটের গেটের উল্লেখও রেখেছেন।