নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে থেকে দল বদলের হিড়িক ছিল চোখে পড়ার মতো! প্রায় রোজই মুড়ি-মুড়কির মতো তৃণমূল নেতানেত্রীরা ফুল বদল করে পদ্মে ঝাঁপ দিচ্ছিলেন। বাংলা দখলকর পাখির চোখ করে প্রতি সপ্তাহে দিল্লী থেকে উড়ে এসেছিলেন পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতারা। সবুজ, গেরুয়া দুই শিবিরের প্রার্থী তালিকাতেই ছিল তারকার মেলা। কিন্তু এত তারকা চমকেও বাংলা জুড়ে পদ্মবন তৈরি হল না!

বিজেপির তারকা প্রার্থী ও বহুদিনের হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাদের ভোটযুদ্ধে জয়ের হাসি হাসলেন কিন্তু জোড়াফুলের বেশিরভাগ প্রার্থীরাই। বেহালা পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী পায়েল সরকার। অন্যদিকে বেহালা পশ্চিমে বিজেপির তারকা প্রার্থী ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং বিপরীতে ছিলেন কার্যত হেভিওয়েট নেতা, রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী সভার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুই বেহালার কোথাও এই ভোটে ফোটেনি পদ্ম। তৃণমূলের কাছেই বেহালা পূর্ব ও পশ্চিমে হেরে যান বিজেপির এই দুই তারকা প্রার্থী।

অন্যদিকে, ভবানীপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারান পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারকা ভার্সেস তারকার লড়াই হয় সোনারপুর দক্ষিণে। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী লাভলী মৈত্রের সঙ্গে লড়াই করেন বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম তারকা প্রার্থী অঞ্জনা বসু। সেখানেও গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছে জোড়াফুলের তারকা প্রার্থী।

চণ্ডীতলাতে হেভিওয়েট ত্রিমুখী লড়াই ছিল। তৃণমূলের স্বাতী খন্দকর, বিজেপির তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত এবং সংযুক্ত মোর্চার মহম্মদ সেলিম ছিলেন প্রার্থী। সেখানেও কার্যত তারকা প্রার্থী যশ ও মহম্মদ সেলিমকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান স্বাতী। জয়ের হাসি হাসেন এই তৃণমূল নেত্রী। উত্তর শহরতলির বরানগরের চিত্রটাও একইরকমের। তারকা চমকেও সেখানে বাজিমাৎ হয় নি বিজেপির। তৃণমূলের তাপস রায়ের কাছে হারতে হয় পার্নো মিত্রকে। গেরুয়া শিবিরকে হতাশ করেছেন অভিনেত্রী প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তীও। শ্যামপুরের তারকা প্রার্থী তনুশ্রীও পদ্মফুল ফোটাতে পারেননি তাঁর কেন্দ্রে।