বাঙালি ভ্রমণ প্রিয় জাতি। পায়ের তলায় সর্ষে নিয়েই বাঙালির জীবন। তবে এই যান্ত্রিক শহুরে জীবন থেকে মুক্তি পেতে মাঝে মধ্যে জনারণ্য থেকে হারিয়ে যেতে হয় সবুজ অরণ্যের মাঝে। আজ তাই রইলো পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি একেবারে অফবিট ঘুরতে যাওয়ার জায়গার হদিশ-
লেপচা জগতঃ
![ভ্রমণ জগতে হারিয়ে যাওয়ার কিছু ঠিকানা 1 download 25](https://banglakhabor.in/wp-content/uploads/2020/11/download-25.jpg)
দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৯ কিমি দূরে অবস্থিত পাহাড়ের শহর লেপচাজগৎ। লেপচাজগৎ-এর প্রধান আকর্ষণ ঘন জঙ্গল আর পাহাড়ি পাইন, ওক, রডোডেনড্রন-এর পাকদন্ডী পথ। কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া এখান থেকে দৃশ্যমান। থাকার জায়গা বলতে বেশির ভাগই হোম স্টে, কাছেপিঠে খুব একটা দোকানপাট নেই বললেই চলে। অসাধারণ নিস্তব্ধতা এখানে সদা বিরাজমান। ভাগ্য সহায় থাকলে এখান থেকেই দেখা মিলতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘার পাঁচটা চূড়ার।
দুয়ারসিনিঃ
![ভ্রমণ জগতে হারিয়ে যাওয়ার কিছু ঠিকানা 2 download 24](https://banglakhabor.in/wp-content/uploads/2020/11/download-24.jpg)
![ভ্রমণ জগতে হারিয়ে যাওয়ার কিছু ঠিকানা 2 download 24](https://banglakhabor.in/wp-content/uploads/2020/11/download-24.jpg)
২৯৪ হেক্টরের প্রাকৃতিক জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম দুয়ারসিনি।গ্রামটি পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থেকে ১৩কিমি দূরে অবস্থিত। ছোটো ছোটো সবুজ টিলা আর তার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা সাতগুরুম নদীএই নিয়েই দুয়ারসিনি।কেন্দু,সেগুন, শাল, পিয়াল,মহুয়ার সবুজ আমোদ আর সাঁওতাল, খেড়িয়া, মুন্ডা, শবরদের মাদলে পর্যটকদের পরিপূর্ণ করে দুয়ারসিনি। নীল আকাশের সামিয়ানার নীচে সবুজ বনযা হাতি,বন্য শূকর,হায়েনার মতো বন্য প্রাণীর ও হরেক রকম পাখির আবাসস্থল। আরেকটু এগোলেই পাওয়া যাবে আসনপানি, ঠেকাদহ, মেঘাদহ নামের আদিবাসীদের গ্রাম। থাকার জায়গা বলতে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের বাংলোই ভরসা।
শিউলিবনাঃ
![ভ্রমণ জগতে হারিয়ে যাওয়ার কিছু ঠিকানা 3 download 23](https://banglakhabor.in/wp-content/uploads/2020/11/download-23.jpg)
![ভ্রমণ জগতে হারিয়ে যাওয়ার কিছু ঠিকানা 3 download 23](https://banglakhabor.in/wp-content/uploads/2020/11/download-23.jpg)
বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে ১২ কিমি দূরে অপরিচিত ছোট্ট গ্রাম,শিউলিবনা। প্রকৃতির কোলে অগাধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে লুক্কায়িত আছে এই নাম না জানা আদিবাসী গ্রামটি। এই গ্রামের প্রধান আকর্ষন হলো বর্ষবরণ। প্রতি বছর মাটির স্টেজে আদিবাসী ভিন্নধর্মী নাচে গানে এখানে পালিত হয় বর্ষবরণ।
ধামসা মাদলে রিঞ্জা,দাশাই,বাহা নাচে জানুয়ারির প্রথম দিনটি একেবারব আলাদা আঙ্গিকে পালিত হয় এই গ্রামে। আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিড় জমায় নানা মানুষ। এছাড়াও বসন্তকালে পলাশের সমারোহে মনোমুগ্ধকর রূপ ধারণ করে এই গ্রাম, নিজস্ব উদ্যোগে এই অঞ্চলে বসন্তোৎসব পালন করেন বহু পর্যটক।
গড়পঞ্চকোটঃ
![ভ্রমণ জগতে হারিয়ে যাওয়ার কিছু ঠিকানা 4 download 22](https://banglakhabor.in/wp-content/uploads/2020/11/download-22.jpg)
![ভ্রমণ জগতে হারিয়ে যাওয়ার কিছু ঠিকানা 4 download 22](https://banglakhabor.in/wp-content/uploads/2020/11/download-22.jpg)
কলকাতা থেকে ২২২ কিমি দূরে, আসানসোল থেকে মাত্র এক ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত গড়পঞ্চকোট। একসময় এই অঞ্চলটি শিকার হয়েছিল বর্গীদের আক্রমণের।শহরের কোলাহল থেকে দূরে সবুজের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার এক আদর্শ স্থল এই জায়গা। গড়পঞ্চকোট ভ্রমণের আদর্শ সময় শীতকাল। গড়পঞ্চকোটের একেবারে পাশেই রয়েছে বরন্তী লেক,জয়চণ্ডী পাহাড়,পাঞ্চেত বাঁধ। গড়পঞ্চকোটে অনেক রিসর্ট গড়ে উঠছে এছাড়াও এখানে রয়েছে টেন্টে থাকার সুবিধা।
তাহলে আর দেরি কেন? আসছে শীতেই বেরিয়ে পড়ুন প্রিয়জনের সাথে। আপনার নিজের কাছে এরকম কোনো অফবিট জায়গার হদিশ থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
আরও পড়ুন: