লকডাউনের সময় চরম কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলার কোথাও না কোথাও দেখা গিয়েছে, একদল যুবক-যুবতী সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে চাল-ডাল নিয়ে অথবা বস্ত্র নিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায় গরিব অসহায় মানুষদের। রাজনৈতিক দলগুলোও পাড়ায় পাড়ায় ক্যান্টিন খুলেছিল, যেখান থেকে সুলভ মূল্যে খাবার মিলছিল রাস্তায় বসবাস করা সাধারণ মানুষদের।
সবসময়ই দুঃস্থ মানুষদের পাশে কেউ না কেউ থাকেই৷ তা সে লকডাউনের মতো কঠিন সময় হোক বা অন্যান্য যে কোনও সময় সাহায্যের দরকার হোক- যে কোনো পরিস্থিতিতে, যে কোনো উপায়ে সদা সর্বদা প্রস্তুত থাকে ইয়ং জেনারেশন অফ বারাসত৷ গত ২৫ শে মার্চ ২০২০, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সেই দিন থেকে লাগাতার প্রায় ১ বছর ধরে তাদের কর্মযজ্ঞ চলছে৷ গত মঙ্গলবার রাতে বারাসাত স্টেশন চত্বরে থাকা অসহায় মানুষদের ইয়াং জেনারেশন অফ বারাসাত এর পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হল শীতবস্ত্র৷ একইসঙ্গে তাদের রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করেন তারা৷
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারাসাত স্টেশনে থাকা হতদরিদ্র মানুষের গায়ে কম্বল তুলে দেন ইয়াং জেনারেশন অফ বারাসাতের সদস্যরা৷ এর আগেও লকডাউনের মধ্যে একাধিক সমাজসেবামূলক কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন তারা৷ সেইসময় একাধিক মানুষের পাশে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তারা দাঁড়িয়েছেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বারবার।
করোনা আবহে লকডাউনের মধ্যে মানুষ যাতে ঘর থেকে বের না হয় তার জন্য একাধিক কর্মসূচীও নেন তারা৷ কখনও দেওয়ালে রঙ করে সচেতনতার বার্তা তো কখনও সাধারণ মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া৷ প্রকৃত অর্থে যারা লকডাউনে খাদ্য সঙ্কটে ভুগছিলেনন, তাদের হাতে সেই চরম দুর্দিনে খাবার তুলে দেওয়া হয় এই সংগঠনের পক্ষ থেকে। চাল, ডাল, ওষুধ, বেবিফুড, যার যেমন প্রয়োজন সে অনুযায়ী দেওয়া হয়৷
আপাতত লকডাউন শেষে ধীরে ধীরে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে দেশ৷ তবে এখনও পরিস্থিতি আগের মত সচল হয়নি। তাই এখন সমাজের দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের সেবায় ব্রতী হয়েছে বারাসাতের তরুণ যুবকদের এই সংগঠন৷ মঙ্গলবার বারাসাত স্টেশন থেকেই তারা আপামর জনগণের কাছে দাবি জানিয়েছেন, এই ভাবে প্রত্যেকে এগিয়ে আসুন। একে অপরের পাশে দাঁড়ান।