নিজস্ব সংবাদদাতা- বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বেসুরো হয়ে ওঠায় তার বিকল্প হিসেবে তার‌ই জেঠিমা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন স্বয়ং মমতাবালা ঠাকুর।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জানান বাইরের রাজ্যে বসবাসরত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার তাকে বিজেপির তরফ থেকে দলে যোগদান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতিবারই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেন। বলেন, “আমার মতুয়া সম্প্রদায়ের যারা অন্যান্য রাজ্যে থাকে তাদের মধ্যে অনেকেই বিজেপিও করে। তাদের দিয়েই বেশ কয়েকবার আমার কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। মাঝে মাঝে এসে ওরা বলে মা এবার একটু অন্য কিছু ভেবে দেখো, বিজেপিতে তো যেতে পারো। আমি ওদের পরিষ্কার বলে দিয়েছি তৃণমূল আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। এই দলের জন্যই আমাকে সবাই চেনে।আমি এখানে যথেষ্ট খুশি আছি, তৃণমূলেই থাকব। আর বিজেপিতে যাওয়ার তো কোনো প্রশ্নই নেই, ওদের আমি পছন্দ করিনা।”

এর পাশাপাশি মমতাবালা ঠাকুর বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে না চাইলেও তার তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি। বলেন, “শান্তনু ঠাকুর তৃণমূলে আসুক বা না আসুক, তাতে আলাদা করে কোনো প্রভাব পড়বে না।” কিছুদিন আগেই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রকাশ্যেই শান্তনু ঠাকুরের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠান। সেই বার্তায় সিএএ এবং এনআরসি চালু না করে বিজেপি মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে দাবি করেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলে এসে একত্রে মতুয়াদের উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য শান্তনু ঠাকুরকে আহ্বান জানান।

বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত মতুয়াদের কাছে টানার জন্য একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি ও তৃণমূল। এমনকি তাদের সন্তুষ্ট করতে কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ বিধি তৈরি করে ফেলে গেজেট নোটিফিকেশন বের করে দিতে। তবে আর সপ্তাহ দেড়েকের মধ্যে রাজ্যের ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা। এত অল্প সময়ের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি সেরে ফেলা সম্ভব নয় বলে অনেকের ধারণা।