নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের পারদকে আরো খানিক উস্কে দিয়েছেন বৈশালী ডালমিয়া। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল তাঁর। চলছিল গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনাও। প্রত্যাশা মতো গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়ে এবার প্রচারের অভিনব পন্থা আবিষ্কার করেছেন তিনি।


জানা গেছে, নিজের কেন্দ্র থেকে গত কয়েক বছরে তাঁর কাজের খতিয়ান পেশ করে একটি পুস্তিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালী ডালমিয়া। মূলত তৃণমূলী অপপ্রচার রুখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি, জানা গেছে গেরুয়া সূত্রের খবরে।
এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে শাসকদল থেকে অপসৃত হাওড়ার নেত্রী জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে গত সাড়ে চার বছর ধরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বালির জন্য তিনি কী কী কাজ করেছেন সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেশ করে একটি বই ছাপার ব্যবস্থা করছেন তিনি। বালির সমস্ত ভোটারদের ঘরে ঘরে এবং প্রত্যেকের হাতে সেই বই পৌঁছেও দেবেন নিজ উদ্যোগে।


তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের পর বালি থেকেই ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন বৈশালী ডালমিয়া। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরেও তার অন্যথা হয় নি। আসন্ন ভোটকে লক্ষ্য রেখেই নিজের মতো করে হোমওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছেন তিনি। প্রাক-নির্বাচনী প্রচারের এই অভিনব পন্থা এখন কতটা প্রভাব ফেলে হাওড়ার মানুষের মাঝে তার উত্তর দেবে ভোট বাক্স।
সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৈশালী ডালমিয়াকে জোড়কদমে প্রচারে নামতে দেখা যাবে পুরোনো দলের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কংগ্রেসের হয়ে বালিতে নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু ২০২০ থেকেই ঘাসফুলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। নানা দল বিরোধী মন্তব্যের পর অবশেষে বহিষ্কৃত হয়ে দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনের বিমানে ওঠেন তিনি। গতকাল ডুমুরজোলার বিজেপি যোগদান সভায় বাকি তৃণমূলের বিদায়ী নেতাদের সঙ্গেই এক সারিতে ছিলেন বৈশালী ডালমিয়া।