নিজস্ব সংবাদদাতা- ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আজ বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ রাজ্যে ৮ টি দফায় বিধানসভা নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সময় ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয় পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনা বেশি হওয়াতেই এখানে ৮ দফায় ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি আয়তনের রাজ্য তামিলনাড়ুতে মাত্র এক দফা নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে কমিশন। স্বভাবতই নির্বাচন কমিশনের এই বিপরীত আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে যে ৮ দফায় ভোট হবে তার দিন হল- ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল, ৬ এপ্রিল, ১০ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল।
অর্থাৎ ২৭ মার্চ থেকে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হচ্ছে এবং ২৯ এপ্রিল শেষ দফার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভোট গ্রহণ পর্ব সমাপ্ত হবে। মে মাসের ২ তারিখ পশ্চিমবঙ্গের ভোট গণনার দিন হিসেবে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে। ওই দিন বাকি তিনটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের‌ও ভোট গণনা হবে।

পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া তামিলনাড়ু, কেরল ও অসম এই তিনটি রাজ্য এবং পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণের নির্ঘণ্ট সাংবাদিক বৈঠক করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। তামিলনাড়ুতে ২৩৪ টি আসনের নির্বাচন একদফায় হবে। কেরলের ১৪০ টি আসনের নির্বাচন একটি দফাতেই হবে। যদিও অসমের ১২৬ টি বিধানসভা আসনের নির্বাচন তিনটি দফায় হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। পুদুচেরির ৩০ টি বিধানসভা আসনের নির্বাচন তামিলনাড়ুর সঙ্গে ৬ এপ্রিল একটি দেফাতেই হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানায়।

ভোটগ্রহণের দফা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কও তৈরি হয় হয়েছে। কারণ কেরল ছোট রাজ্য হলেও তামিলনাড়ুর আয়তন পশ্চিমবঙ্গের থেকে বেশি এবং বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় পশ্চিমবঙ্গের মতোই। দক্ষিণের রাজ্যটির ২৩৪ টি আসনের ভোটগ্রহণপর্ব যেখানে একদফায় সেরে ফেলা হচ্ছে, সেখানে কোন যুক্তিতে আটটি দফায় পশ্চিমবঙ্গের ভোট করা হবে সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গ সহ ভোট মুখী এই পাঁচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচনী আচরণবিধি জারী হয়ে গেল। নতুন সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি সমাপ্ত হওয়ার কথা।