নিজস্ব সংবাদদাতা- উত্তরবঙ্গে দলীয় সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দুটি রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন। একটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে, অন্যটি মালদা জেলার ইংরেজবাজারে। এই দুই জনসভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নাম করেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন। এর পাশাপাশি তিনি বিজেপির সঙ্গে বাম ও কংগ্রেসের আঁতাতের অভিযোগে তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেলে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তিনি পাল্টা কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

দিলীপ ঘোষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করছেন আমাদের সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের আঁতাত আছে, কিন্তু এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আগে তার দলের সঙ্গেই আমাদের জোট ছিল, সেই কথাটা তো কই স্বীকার করছেন না উনি। আমাদের হাত ধরেই এই রাজ্যে পাকাপোক্ত আসন লাভ করেছে বড় হয়ে উঠেছেন উনি।”

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তারা সমর্থন করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফল হয়েছিলেন এরকম ইঙ্গিত করেন দীলিপ বাবু। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে তো প্রথমে উনি ঢুকতে পারছিলেন না। আমাদের নেতাদের হাত ধরে নন্দীগ্রামে প্রবেশ করেন। তারপর সেখানে আন্দোলন করে আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু আসল সত্যিটা উনি কখনোই স্বীকার করেননি।” এর পাশাপাশি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসেকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “কংগ্রেস ও বামেরা তো আমাদের পেটের ভেতর ঢুকে গিয়েছে, ওদের কথা ছাড়ুন।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রায়গঞ্জ ও ইংরেজবাজার জনসভার বক্তব্যকে কোনো গুরুত্বই দিতে চাননি দীলিপ বাবু। তিনি বলেন, “কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছেন না বলে আমাদেরকে বহিরাগত বলছেন। ওনার কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নেই বলেই উনি উল্টোপাল্টা যা ইচ্ছা বলে অশান্তি তৈরীর চেষ্টা করছেন। মানুষ অতটা বোকা নয়, তারা জানে কে কিরকম। এইসব বহিরাগত ইস্যু তুলে আমাদেরকে উনি দমাতে পারবেন না।”

তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কুকথার রাজনীতির অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে না পেরে একের পর এক জনসভার মঞ্চ থেকে উনি উল্টোপাল্টা যা ইচ্ছা বলে চলেছেন। কাকে কি ভাষায় কথা বলছেন সবকিছুই মানুষ লক্ষ্য রাখছে। ওনার শেষের দিন ঘনিয়ে এসেছে তাই বুঝতে পারছেন না কী করবেন, কী বলবেন।”