নিজস্ব সংবাদদাতা: জনসভায় গিয়ে সেখানকার মানুষকে কথা দিয়েছিলেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা গেল তিনি সেই কথা রেখেছেনও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার আন্দোলনের আঁতুরঘর নন্দীগ্রাম থেকেই দাঁড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বিজেপি সেখানে প্রার্থী করেছে দলত্যাগী তৃণমূল নেতা তথা ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীকে। যার ফলে আট থেকে আশি সকলেরই নজর এখন নন্দীগ্রামের ভোটের লড়াইকে ঘিরে। সব মিলিয়েই এই আসন এবার হাইভোল্টেজ

গতকালই নন্দীগ্রামে পা রেখেছেন মমতা। তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে তিনি প্রথমবার পা রেখেছেন সেখানে। আজ, বুধবার তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা হলদিয়ায়। বেলা আড়াইটে নাগাদ হলদিয়া প্রশাসনিক ভবনে তার মনোনয়ন পেশ করার কথা। বুধবার বেলা একটা নাগাদ নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এক শিব মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেলা দু’টো নাগাদ তিনি চলে আসবেন হলদিয়ায়।

সূত্রের খবর, হলদিয়ায় তিনি প্রায় এক কিলোমিটার একটি পদযাত্রা করবেন। তারপর তিনি মনোনয়ন পেশ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নিয়ম মেনেই তিনি জমা দেবেন মনোনয়ন। অযথা ভিড় করতে বারণ করা হচ্ছে। আমাদের সমর্থকরা দূরে থাকবেন।” এদিনই অবশ্য তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা কলকাতায়। তবে শীঘ্রই নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লকে দুটি মিছিল করবেন মমতা।

অন্যদিকে শুক্রবার মনোনয়ন পেশ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী মনোনয়ন পেশ করার আগেই একটি মিছিল করবেন। তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী তিনি মনোনয়ন পেশ করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তবে সেই রোড শো’তে তার সাথে থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও স্মৃতি ইরানির।

নন্দীগ্রাম আসন জিতবেন বলেই আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম আসনে তিনি হাফ লাখ ভোটে জিতবেন বলে নিজেই জানিয়েছেন। পাল্টা রণকৌশল অবশ্য সাজিয়ে ফেলেছে তৃণমূলও। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রচার থেকে নির্বাচনী কাজ দেখাশোনা করার জন্যে গঠন করা হয়েছে বিশেষ দল। যার দায়িত্বে আছেন রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও দোলা সেন। এছাড়া বিশেষ দায়িত্বে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখনও হয়ে গেছে নন্দীগ্রামে।

তবে পিছিয়ে নেই শুভেন্দু শিবিরও। প্রতিদিন দলীয় কার্যালয়ে এসে বসছেন। সেখান থেকেই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন ভোট প্রচার। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তিনি এলাকার ছেলে। সারাবছর তার সাথে এলাকার মানুষের যোগাযোগ থাকে। তাই নতুন করে তাঁকে ভোট বলে প্রচার করতে হয় না৷ সবমিলিয়ে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে এই দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি।