নিজস্ব সংবাদদাতা- চাইলে এই দুনিয়ায় সবকিছুই যে করা সম্ভব হয় তা দেখিয়ে দিল একদল কানাডিয়ান। মাইনাস ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে দাঁড়িয়েও তারা মনের একাগ্রতা ও ফিটনেস বাড়ানোর লক্ষ্যে ভাংরা ক্লাসে যোগদান করেন। এই ক্লাসের একটি ভিডিও টুইটারে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মজার ব্যাপার হল ভিডিওটি দেখে ভালোলাগায় কানাডিয়ান হলিউড অভিনেতা রায়ান রেনল্ডস লাইক পর্যন্ত করেন।

গুরদ্বীপ পান্ধারের পাঞ্জাবে জন্ম। ২০১১ সালে তিনি কানাডায় চলে যান। তার বরাবরই লক্ষ্য ছিল নাচকে নিয়ে কোনো কিছু করা। সেখানে গিয়ে তিনি নিজের একটি নাচের স্কুল খোলেন। খুব দ্রুত তার ভাংড়া নাচ ও প্রশিক্ষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে স্থানীয় কানাডিয়ানদের মধ্যে। ২০১২ সালে তিনি কানাডার শীতলতম শহর ইয়ুকনে চলে যান।

যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি ইয়ুকন শহরেরই। সেখানকার চার জন স্থানীয় বাসিন্দার একটি দল  মাইনাস ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় গুরদ্বীপের কাছে ভাংরা নাচের স্টেপ শিখছে। ভিডিওটিতে দেখা যায় চারিদিক বরফে ঢেকে গিয়েছে এবং ঝুরঝুর করে আকাশ থেকে তুষারপাত হচ্ছে। এক-দুই করে ভাংরা নাচের জন্য দুটি পা’র ব্যবহার শেখাচ্ছেন প্রশিক্ষক নিজে এবং ৪ জন শিক্ষার্থী খুব দ্রুত সেই স্টেপ তুলে নিচ্ছে।

ভিডিওটি গুরদ্বীপ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানেই তিনি জানান এই ক্লাস যখন হচ্ছিল সেই সময় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে ছিল। তবে এটাও জানিয়েছেন ঠাণ্ডা অনুভূতি ছিল মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমান। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ১.৪ লক্ষ বারের‌ও বেশি মানুষ দেখেছেন।

গুরদ্বীপ পান্ধার টুইটারে লেখেন, “শিক্ষার্থীরাই আমাকে বারবার অনুরোধ করে করোনা বিধি মেনে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ভাংরা ক্লাস করানোর জন্য। এই ক্লাসটা আমরা করেছি মজা করার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে যাতে পজেটিভ এনার্জি তৈরি হয় সেই জন্য।

ভিডিওটি দেখার পর টুইটার ব্যবহারকারীদের অনেকেই মজার মজার কথাও লিখেছেন। একজন লিখেছেন, “ভাংরা নাচ শেখার ক্লাসের কি অপূর্ব পরিবেশ।” আরেকজন লিখেছেন, “তাহলে কানাডিয়ানরা, তোমরা মাইনাস ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাংরা শিখছ! এগিয়ে যাও।”