নিজস্ব সংবাদদাতা- এ রাজ্যের সাংসদ-বিধায়কদের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মানহানির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নোটিশ পাঠিয়েছিল। আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি আইনজীবী ব্রীজেশ ঝা আদালতে হাজির হলে জানা যায় ওই নোটিশে অমিত শাহর বাড়ির ঠিকানা ভুল দেওয়া আছে। ঠিকানা বিভ্রাটের কারণে আজ এই মামলার সওয়াল-জবাব খুব বেশিদূর এগোয়নি। বিশেষ আদালতের বিচারক মামলাটি শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা এই মানহানি মামলার যাবতীয় শুনানি ব্যাঙ্কশাল কোর্টই হবে।

আদালত মানহানির মামলায় অমিত শাহকে নোটিশ পাঠানোর পরে তেড়ে-ফুঁড়ে লেগেছিল তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ এনেছেন তার যথোপযুক্ত জবাব এবার পেয়ে যাবেন। বস্তুত এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা এই নোটিশের ফলে বেশ খানিকটা অপ্রস্তুতে পড়েন। কিন্তু আজ যখন জানা যায় অমিত শাহর বাড়ির ঠিকানা ভুল দেওয়া হয়েছে, তখন আবার ফ্রন্টফুটে চলে আসে বিজেপি।

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মানহানির মামলাটি স্থানান্তরিত হওয়ার পর বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তৃণমূল জনতার আদালতে হেরে যাওয়ার ফলেই মামলা-মোকদ্দমার মধ্য দিয়ে তাদের ব্যস্ত রাখতে চাইছে তৃণমূল। তারা এর জবাব আইনকে হাতিয়ার করেই দেবেন বলে বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে সাহস নেই বলেই বিজেপির শীর্ষ নেতারা পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে তাকে ভাইপো বলে চিহ্নিত করে। তৃণমূল যুব সভাপতির বিরুদ্ধে ভুয়ো দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ রাজ্যের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে মিথ্যে অভিযোগ করে বেশিদিন যে মানুষকে ভুলিয়ে রাখা যাবে না তা আদালতের এই নোটিশের মধ্যে দিয়েই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বলে রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতাকর্মীদের দাবি।

রাজনৈতিক মহলের মতে এই মানহানির মামলার চূড়ান্ত রায়দান সম্ভবত এক্ষুনি হবে না। এই নিয়ে চাপান-উতোর আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলে তাদের ধারণা।