নিজস্ব সংবাদদাতা- মৃত ম‌ইদুল আলি মিদ্যার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “শুনেছি ছেলেটি পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল। আমি সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম, জানিয়েছি আপনারা এবং পরিবার যদি চায় সরকার আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে পারে। যে কোনো মৃত্যু দুঃখজনক ঘটনা।”

মৃত ডিওয়াইএফআই নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি তার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “নিয়ম আছে এসব ঘটনায় কেউ আহত হলে যে হসপিটাল বা নার্সিং হোমে ভর্তি করা হোক তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে তা হয়নি। শুনেছি পরিবারকেও দুদিন পর ১৩ তারিখ জানানো হয়েছে। কেন এই বিষয়গুলি ঘটল সেটাও খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। হতেও তো পারে ওর কিডনিতে আগে থেকে কোনো সমস্যা ছিল।”

সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে টাকা দিয়ে মইদুল ইসলামের খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। পরিবারকে সাহায্য করা যেমন জরুরি তেমনি এই খুনের বিহিত করতে হবে বলে জানিয়েছে তারা। সিপিএমের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, “সাহায্যের নামে এবার ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হবে। আগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিজের সিদ্ধান্তে ওরকম নির্মমভাবে মারতে পারে না। নিশ্চয়ই ওপরে, তার ওপরের কারোর নির্দেশ ছিল। সেই ওপরের ব্যক্তিটাকে ধরতে হবে।”

মইদুল আলির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, “যে পুলিশ মানুষকে বাঁচায় সেই পুলিশ ম‌ইদুলকে মেরে ফেলল। তারা এই বাম কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।”

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন ও বাম মনস্ক মানুষজন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মইদুল আলির মৃত্যুর পর তার পরিবারের পাশে থাকার বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। তাদের একটাই লক্ষ্য আর্থিক সাহায্য করে মইদুল আলির পরিবারের আর্থিক সমস্যার কিছুটা যেন সুরাহা করা যায়। বামেদের পক্ষ থেকে আজ ও আগামীকাল দু’দিন রাজ্যের সমস্ত থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।