নিজস্ব সংবাদদাতা- কোকেন কাণ্ডে জড়িত বিজেপি নেতা রাকেশ সিং-কে আদালতে পেশ করার সময় আজ ফের এক প্রস্থ উত্তেজনা তৈরি হয়। বর্ধমানের গলসিতে গতরাতে এই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ভোরবেলায় তাকে লালবাজারে নিয়ে আসেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। দুপুর বেলায় এই বিজেপি নেতাকে আদালতে পেশ করার সময় রাকেশ সিংয়ের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। ভিড়ের চাপে একসময় এই নেতা পড়ে যান। সেই সময়ে তাকে হাত পা ছুঁড়ে প্রবল চিৎকার করতে দেখা গিয়েছে।

পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় রাকেশ সিং আরও এক প্রস্থ চিৎকার চেঁচামেচি করেন। আজ কোকেন কাণ্ডে আদালত তাকে মার্চের ১ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তারা অনুমান করছেন রাকেশ সিং ও পামেলা গোস্বামীর মধ্যে আরও একজন কেউ আছেন যিনি পামেলাকে কোকেন সরবরাহ করতেন। সেই লিঙ্ক ম্যানের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

এদিকে গতকাল কলকাতা পুলিশ যখন ওয়াটগঞ্জে রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় সেই সময় তার দুই ছেলে শুভম ও শিবম পুলিশের সঙ্গে বারবার বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তদন্তের কাজে বাধাদানের অভিযোগে পুলিশ শুভম ও শিবমকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাদের আদালতে তুললে বিচারক ৫,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে রাকেশ সিংয়ের দুই ছেলের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিজেপির পক্ষ থেকে আজ অভিযোগ করা হয়েছে কলকাতা বন্দর ও দক্ষিণ কলকাতায় রাকেশ সিংয়ের প্রতিপত্তি ক্রমশ বাড়ছিল বলেই চক্রান্ত করে পুলিশকে দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত কোকেন কাণ্ডে বিজেপির যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামী এবং রাকেশ সিং জড়িয়ে পড়ার ফলে গেরুয়া শিবিরের ভালোমতোই মুখ পুড়েছে। বিশেষত পামেলা গোস্বামী নিজেই রাকেশ সিং-এর নাম প্রকাশ্যে আনেন। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি আভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে।