নিজস্ব সংবাদদাতা: রুদ্রনীল ঘোষ থেকে শুরু করে হিরণ চট্টোপাধ্যায় কিংবা কৌশিক রায়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে টলিউড যোগের যে ধুম পড়েছে তা অস্বীকার করার জো নেই। দর্শকমহলকে চমকে দিয়ে একের পর এক জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। তার জেরে শাসক কিংবা বিরোধীদলের ভিত মজবুত হল কিনা তার উত্তর দেবে ভোটের ফলাফল। কিন্তু বাংলার রসিকমহলে টলিউডের এই রাজনৈতিক ঝোঁক নিয়ে চর্চা অব্যাহত।

টলিউডের ক্রমবর্ধমান রাজনীতি যোগের আবহেই এবার উঁকি মারতে শুরু করেছে আরো এক জনপ্রিয় নাম। অঙ্কুশ হাজরা। বাংলা বাণিজ্যিক ছবির দুনিয়ার অঙ্কুশ হাজরার নাম বিশেষ পরিচিত। শুধু তাই নয়, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। আর সেই সূত্রেই এবার রাজনীতির আঙিনায় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’ খ্যাত অভিনেতার নাম। শোনা যাচ্ছে ‘বন্ধু’ রুদ্রনীল ঘোষের পক্ষে রাজনৈতিক প্রচারে নামতে পারেন অঙ্কুশ হাজরা।

তবে রাজনীতিতে হাতেখড়ির জল্পনা অবশ্য একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। নানা মহলের প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্টই জানিয়েছেন আগামী অন্তত ২০ বছর সক্রিয় রাজনীতিত আসতে চান না তিনি। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতি না করলেও রাজনীতির আঙিনায় যাতায়াত এখনি শুরু করে দিচ্ছেন অঙ্কুশ হাজরা, জানিয়েছেন তাও। এদিন হাওড়ায় অবনী মলে তাঁর নতুন ছবি ম্যাজিকের প্রচারে এসে অভিনেতা অঙ্কুশ জানিয়েছেন, বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষের ডাকে রাজনৈতিক প্রচারের ময়দানে তাঁকে আগামী দিনে দেখা যেতে পারে।

এদিন ছবির প্রচারে এসে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নেতা কর্মীদের ভাষা ব্যবহারের কদর্যতারও সমালোচনা করেছেন অঙ্কুশ হাজরা। তাঁর মতে রাজনীতি করলে মুখের ভাষা অনেক সংযত রাখা উচিত। তিনি বলেন সিনেমা জগতে অনেক অভিনেতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু সেখানে কদর্য ভাষার ব্যবহার করা হয় না। ঠিক একইভাবে রাজনীতির আঙিনাতেও তাই হওয়া উচিত। রুদ্রনীল ঘোষের ডাকে সাড়া দেওয়ার পিছনে কি অঙ্কুশ হাজরার রাজনৈতিক অভিরুচির পরিচয় লুকিয়ে আছে? এদিন সে প্রশ্নও নাকচ করে দেন অভিনেতা। রাজনৈতিক দলের জন্য নয়। সুসম্পর্ক আছে বলেই সহকর্মী রুদ্রনীলের ডাকে সাড়া দেবেন বলে জানিয়েছেন অঙ্কুশ হাজরা।