টেট দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার এসব বিভিন্ন কারণে সবুজ বাহিনীর পূর্ণিমার চাঁদের মত রাজত্ব যেন কলঙ্কে কালিমাপূর্ণ। সময়ের সাথে সাথে কিছু ক্ষত আরও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে তা ঠিকই কিন্তু যে ক্ষতগুলো মিলিয়ে যায়, তাদের কেউ মনে রাখেনা, তাদের কথা কেউ বলেনা। খারাপটা দেখার পর যেমন তার প্রতিবাদ করা হয়, বা তার সাপেক্ষে কটূক্তি করা হয়, ভালো দেখার পর কিন্তু বাহবা দেওয়া একদমই হয়না। ভালোর কথাগুলো কেউ বলেনা, কেউ তাদের মনেও রাখেনা।
কিন্তু সাধারণ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার মূলে এখনও রয়েছে সেই তৃণমূলই। ১৫ জুন তৃণমূল সহযোদ্ধা দীনেশ দাস মহাশয় তাঁর গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। গুমা চৌমাথার কাছে একটি অ্যাকসিডেন্ট হয়। সোহেল হক নামক এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। মাটির মধ্যে ছটফট করছিলেন ব্যক্তি কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছিলেন না। দীনেশ দাস মহাশয় এবং সেখানকার সবুজ বাহিনীর ছাত্রদলের সদস্য পার্থ চৌধুরী এবং গুমা ছাত্র পরিষদের সাহিল মুন্সী,করিব উদ্দিন বিশ্বাস এবং মারিফুল মোল্লা তৎক্ষণাৎ সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখন তিনি সুস্থ আছেন।
দীনেশ দাস মহাশয় সেই ব্যক্তির খোঁজখবর নেন এবং বাংলা খবরের এক সাংবাদিককে জানিয়েছেন যে সেই ব্যক্তি সুস্থ আছেন। তাঁর হাতটায় প্লাস্টার করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা মাথার ক্ষতে একটু বাতাস লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাই মাথার বাঁধন খুলে দিয়েছেন তাঁরা। সেই ব্যক্তির মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছিল। ছেলের কষ্টে তিনি কিছুটা যে ভেঙে পড়েছেন, তা আর বলার অবকাশ রাখেনা। দীনেশ দাস মহাশয় এও খোঁজখবর নিয়েছেন যে সেই ব্যক্তির কোনও সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে কিনা এবং প্রয়োজন হলে যেন অবশ্যই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তা নিশ্চিত করেছেন।