জনসেবা সত্যিই শিক্ষণীয়। আর সেই শিক্ষা যদি আপনি পেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে শমিতা হালদারের মতো কারোর কাছে। যিনি দিনরাত জনসেবা করার পরেও একটুও ক্লান্তিবোধ করেন না।

হাবড়ার এই ধন্যি মেয়ে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী সঞ্জীব কাপুরের কাছ থেকে একটি রান্নার কোর্স করেছিলেন তিনি। এখন তিনি এক সুযোগ্য ছাত্রীর মতো সেই জ্ঞান বিলিয়ে দিচ্ছেন অটিস্টিক বাচ্চাদের প্রতি।

অটিস্টিক বাচ্চাদের শেখানোর জন্য আলাদা ভাবে কোনও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়েনি। শুধু সমাজ যে সমস্ত শিশুদের একটু অন্য চোখে দেখে, যাদের দ্বারা কিছু হবে না বলে সমাজের এক শ্রেণি এখনও মনে করে, সেই সমস্ত ফুটফুটে নিষ্পাপ প্রাণেদের আঁকড়ে ধরতে জানেন শমিতা। মনুষ্যত্বের প্রশিক্ষণ এই সমস্ত মানুষদের নিতে হয় না। অন্যান্য বাচ্চাদের মতো তারাও ভীষণ ভালোবাসে শমিতাকে।

শমিতা

সেইসব বাচ্চাদের শুধু রান্না শিখিয়েই তিনি থেমে থাকেননি। তাদের আত্মনির্ভর করার জন্য তাদের মাইক্রোওভেনের ব্যবহার অথবা খাবার গরম করার মতো উপস্থিত পদ্ধতি শিখিয়ে রাখেন তিনি।

তাঁর তৈরি খাবার প্রস্তুত করে বাচ্চারা অর্থ উপার্জনের নতুন এক পথ খুঁজে পেয়েছে। শমিতা অটিজম সম্মন্ধে বিস্তারিত জেনে দেখেন যে কিছু খাবার যেমন প্যাকেটজাত খাবার বা কৃত্রিম রং বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকারক। তাই তিনি সেগুলো বাদ দিয়েই রান্না শেখান। বিনা পারিশ্রমিকে এতটা মহৎ উদ্দেশ্যে নিজেকে সামিল করে তিনি সত্যিই আমাদের সবার কাছে এক অসাধারণ উদাহরণ প্রতিনিয়ত রেখে চলেছেন।