নিজস্ব সংবাদদাতা: আসানসোল দক্ষিণ থেকে তাঁর নাম ঘাসফুল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর থেকেই জোরকদমে প্রচার কার্যে নেমেছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। আসানসোলের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠতে চাইছেন তিনি। অন্যান্য তারকা প্রার্থীদের মতো তাঁর মুখেও শোনা গেছে প্রতিশ্রুতির বন্যা। ভোট শেষ হলেই যে প্রার্থীরা উধাও হয়ে যান, সেই কলঙ্ক মুছতে মরিয়া সায়নী ঘোষও। কিন্তু রাজনীতি হোক বা বাংলা বিনোদন জগত,সায়নী ঘোষের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিতর্কও।

বছর পাঁচেক আগে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পড়ানো নিয়ে বড়সড় বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন সায়নী ঘোষ। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছিল একটি ছবি যেখানে দেখা গেছে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পড়াতে দেখা গেছিল। আর তার জেরেই মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে বিতর্কের ঝড়। যদিও প্রথম থেকেই অভিনেত্রীর দাবি ছিল তাঁর অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে। কিন্তু হিন্দুধর্মের ভাবাবেগে আঘাতের অপবাদ না মুছতে দিয়ে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে রাজনীতির ময়দান। এমতাবস্থায়, সায়নী ঘোষ কি পারবেন কন্ডোম বিতর্ক মুছে আসানসোলের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠতে? নাকি তারকা প্রার্থী দিয়েও জয় পাবে না তৃণমূল? ভোট বাজারে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

তবে ফলাফল যাই হোক না কেন, চেষ্টায় খামতি রাখছেন না অভিনেত্রী। দিন দুয়েক আগে দেখা গিয়েছিল রোদে পুড়ে আসানসোলের ‘দিদা স্পেশ্যাল’ পুদিনার চাটনি’র রেসিপি শিখছেন সায়নী ঘোষ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে এলাকার আট থেকে আশি সবার সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোই যেন এখন তাঁর সামনেএকমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই কখনো পুদিনার চাটনি বানাচ্ছেন, কখনো আবার আদিবাসী গ্রামে গিয়ে চপ-মুড়ি খাচ্ছেন, এমনকি হাতে তুলে নিচ্ছেন ক্রিকেট ব্যাটও।

তারকা প্রার্থীকে নিয়ে মাতামাতির পাশাপাশি জারি আছে বিরোধিতাও। গতকালই আসানসোলের এক মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে বাঁধা পান সায়নী ঘোষ। সূত্রের খবর, ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের সাথে তাঁর বেরিয়ে আসার পর মন্দির ধোয়া হয় গোবরজলেও। বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়েও অনুরূপ বিরোধিতার মুখোমুখি হন সায়নী। এসব বাঁধাকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছেন না অভিনেত্রী। তাঁর কথা, “৪ জন গো ব্যাক বললে ৪০ জন ওয়েলকামও বলছেন।” এমতাবস্থায়, পুরোনো কলঙ্ক মুছে ভোট বাজারে কতটা সাফল্য পান তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সেটাই এখন দেখার।