নিজস্ব সংবাদদাতা- হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার দিনেই শশীকলাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক শুরু হল তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশীকলাকে। জয়ললিতার মৃত্যুর পর তিনি এআইএডিএমকের মহাসচিব হয়েছিলেন। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই দলের বাকি নেতারা তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পরেই তার ভাইপো টিভি দিনাকরন নতুন একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে।

আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শশীকলা যে গাড়িতে করে ফিরছিলেন তাতে তামিলনাড়ুর শাসকদল এআইএডিএমকের দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। এরপর জল্পনা শুরু হয় দল থেকে বহিষ্কৃত এই নেত্রীকে আবার দলে ফিরিয়ে নিচ্ছে এআইএডিএমকে। যদিও এই বিষয়ে শশীকলা বা তার ভাইপো দিনাকরনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানাস্বামী সংবাদমাধ্যমের সামনে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, “শশীকলার দলে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখতে পাচ্ছি না।” তারপরেই তামিল ভূমির রাজনৈতিক মহল মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল শাশিকলা যদি রাজনীতিতে টিকে থাকতে চান তাহলে অন্য ভাবে তাকে কিছু ভাবতে হবে।

জয়ললিতা নিজে একসময় তার এই প্রিয় বান্ধবীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। এক সময় শোনা গিয়েছিল আম্মাকে সামনে খাড়া করে আসলে শশীকলাই রাজ্য শাসন করতেন। জয়ললিতা মারা গেলে দিশেহারা এআইএডিএমকে শিবির শশীকলার হাতে দলের যাবতীয় দায়িত্বভার তুলে দেয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় অভিযুক্ত হন তিনি। তখন পালানিস্বামী ও পন্নিরসেলভাম শিবির একজোট হয়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেঅপ। অনেকের মতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে শশীকলাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত এআইএডিএমকের।