হিন্দুস্থান মোটরসের পুনর্জীবনের সম্ভাবনা! ফিনিক্স পাখির সঙ্গে তুলনা বিশেষজ্ঞদের

টানা ৬৬ বছরের রাজত্বের পর, আট বছর কি শুধুমাত্র বিশ্রামের পরিকল্পনা ছিল এই কোম্পানির? সঠিক উত্তর পেতে হয়ত আর কয়েকদিনের অপেক্ষা।

কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি চড়েননি বা অ্যাম্বাসেডর গাড়ির কথা শোনেননি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। সেই গাড়ির নির্মাতা হিন্দুস্তান মোটরস ১৯৪৮ সালের পর বাংলার উত্তরপাড়ায় স্থাপিত হয়েছিল। যা ক্রমশ স্থানীয় মানুষ এমনকী রাজ্যবাসীর কাছে একটি আবেগে পরিনত হয়। এই ব্র্যান্ড ধীরে ধীরে একটি “আইকনিক ব্র্যান্ড” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আর তার মালিক বিড়লা গ্রুপ পরিচিতি লাভ করে এক “আইকনিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর” হিসেবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে উপযুক্ত বাণিজ্যিক পরিকল্পনার অভাব, অসম প্রতিযোগিতা এবং উপযুক্ত আর্থিক সহযোগিতার অভাবে ২০১৪ সালের মে মাসে প্রচুর মানুষকে কর্মহীন করে বিদায় নেয় এই কোম্পানি। তার ঠিক আট বছরের মধ্যে ফিনিক্স পাখির মতো পুনর্জন্ম নিতে চলেছে এই ব্র্যান্ড।

তবে পূর্ব পরিচিতির পুনঃনির্মাণ করছে না HM। অ্যাম্বাসেডর বা কোনও মোটর গাড়ি নয়। প্রথমে দু’চাকার ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন শুরু করতে চলেছেন তারা। এক ইউরোপীয় হেভিওয়েট কোম্পানি “স্টেনলান্টিস এন ভি” ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক হয়েছে এই কোম্পানিতে। একটা MoU স্বাক্ষর হয়েছে দুই কোম্পানির মধ্যে।

হিন্দুস্থান মোটরস

হিন্দুস্থান মোটরসের ডিরেক্টর উত্তম বোসের কথা অনুযায়ী তাদের হাতে ২৮৬ একর জমি রয়েছে। একাংশ হীরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠীকে ইতিমধ্যেই বিক্রি করেছে হিন্দুস্থান মোটরস।

আলোচনা চলছে শুধু অংশীদারিত্ব নিয়ে। যা অনুমান করা যাচ্ছে,
৫১:৪৯ ফর্মুলায় ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকবে বিড়লা গোষ্ঠীর কাছে বাকি ৪৯ শতাংশ থাকবে ইউরোপীয় শিল্পগোষ্ঠীর কাছে।

এই খবরে স্বভাবতই খুশির হাওয়া হিন্দুস্তান মোটরসের শ্রমিক মহল্লা থেকে রাজ্যের শিল্প বানিজ্য মহলে। বাংলার শিল্প বাণিজ্য আবার কি সোনালী দিনগুলোর হাতছানি পেতে চলেছে? তা অবশ্য জানতে আরও বছরখানেক অপেক্ষা করতে হবে বলে সংস্থা সূত্রে খবর।