ফের এক অভিনেত্রীর রহস্য মৃত্যু। টলি পাড়ায় নানা গুঞ্জন। বছর ২৫ এর অভিনেত্রী পল্লবী দে’ র মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার তত্ত্ব উঠে এলেও পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ করা হচ্ছে ৷ সহকর্মীদের তরফ থেকেও উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। তবে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন উঠছে তা হল বারবার সেলিব্রিটিদের মৃত্যু নিয়ে কেন রহস্য দানা বাধে! অভিনেত্রী পল্লবী দে’র অস্বাভাবিক মৃত্যু সাড়া ফেলেছে সমগ্র সিনে জগতে। গলায় বিছানার চাদর জড়ানো ঝুলন্ত একটা দেহ দেখে একটাই প্রশ্ন মাথায় আসে। আত্মহত্যা নাকি খুন?

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আত্মহত্যারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে দুটো বিষয় নিয়েই বাঁধছে সন্দেহের জমাট।

প্রথমত দুজনের মধ্যে অর্থাৎ পল্লবী ও তার লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিকের মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন। যা খুব একটা মজবুত ছিল না বলে খবর। দু’জনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত বলে জানা যাচ্ছে। সাগ্নিক বিবাহিত। নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে পল্লবীকে বিয়ে করার কথা ছিল তার। কিন্তু বাড়ির কেয়ারটেকারের মতে তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া লেগে থাকতো। কোনও কোনওদিন সেই ঝগড়া হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছে যেতো। যেদিন পল্লবী আত্মহত্যা করে তার আগেরদিন রাত থেকে অশান্তি চলছিল এবং তা সকাল অবধি গড়িয়েছে।

পল্লবী

দ্বিতীয়ত পল্লবী আর সাগ্নিকের মোটা অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট, যার মালকিন ছিলেন পল্লবী। সাগ্নিক ছিলেন নমিনি। ফলে এই সম্পর্কে প্রকাশ্যে এসেছে এক আর্থিক দিক। ১৫ লাখের একটি জয়েন্ট FD ছিল সাগ্নিক ও পল্লবীর। এর আগে সাগ্নিক ও তার বাবার নামে নিউটাউনে ৮০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনা হয় যার অধিকাংশই দেন অভিনেত্রী পল্লবী। এমনকী দুজনের কেনা গাড়িরও অধিকাংশ মূল্য অভিনেত্রীই দেন। অভিনেত্রীর পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে গড়ফা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। অভিনেত্রীর মায়ের মতে, যে মেয়ে মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই মাকে রান্নার রেসিপি জিজ্ঞেস করে, সেই মেয়ে কোনওভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে না।

নেটিজেনদের একাংশও তার আত্মহত্যার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না৷ তাদের একাংশের মত কয়েকঘণ্টা আগেও তার সোশ্যাল মিডিয়ায় খুশির ছবি পোস্ট করেছেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এভাবে আত্মহত্যা কার্যত অসম্ভব। তাঁর সহকর্মীরাও মানতে পারছেন না আত্মহত্যার কথা। তার সহ অভিনেতা জয়জিৎ জানান, ‘একটু চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে ছিল পল্লবী। শ্যুটের ফাঁকে, অবসর সময়ে কেমন যেন অন্যমনস্কও থাকত। তা বলে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে ও ছিল না!’