নিজস্ব সংবাদদাতা: ১১ মাস পর খুলছে রাজ্যের স্কুল। করোনা ভাইরাসের অতিমারীর মোকাবিলায় দেশের নানা প্রান্তে, লকডাউন ও তৎপরবর্তী পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়ে দীর্ঘস্থায়ী। স্কুল কলেজ গুলিতে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া এতদিন ধরে চলছিল অনলাইনেই। তবে অতিমারীর মেঘ খানিক কাটলে অবশেষে বাংলাতেও শুরু হয়েছে স্কুল খোলার তোড়জোড়।

চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি শ্রেণীর পড়ুয়াদের অফলাইন ক্লাস চালু করার কথা ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর। বলা হয়েছে মূলত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্তই আপাতত চালু হবে ক্লাস। তবে এক্ষেত্রে করোনা সতর্কতাস্বরূপ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা নিতান্তই অনিবার্য। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্কুল খুললে শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা স্কুল চত্বরে ঠিক কী কী নিয়ম পালন করবেন? তারই এক অভিনব গাইডলাইন প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

সম্প্রতি এক অ্যানিমেশন ভিডিওর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুল কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে সতর্কতার পাঠ দেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলার পর কীভাবে ক্লাস নিতে হবে, কীভাবে স্কুল চত্বরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে সমস্তই ওই ভিডিওতে জানানো হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। অ্যানিমেশন ভিডিওর মাধ্যমে রাজ্যের নির্দেশিকা নিঃসন্দেহে সংশ্লিষ্ট মহলে লাভ করেছে জনপ্রিয়তা।

স্কুল

মিনিট তিনেকের ওই ভিডিওর শুরুতেই দেখা গেছে স্কুলের দরজায় ঝুলতে থাকা দীর্ঘদিনের তালা যাচ্ছে খুলে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, স্কুল খোলার আগে ও পরে নিয়মিত স্কুল চত্বর স্যানিটাইজ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে মিড ডে মিল রান্নার ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুল চত্বরে আগে থেকেই এঁকে রাখতে হবে সুরক্ষার গন্ডি। এছাড়া, ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাসরুমে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করাও অনিবার্য।

ভিডিওতে আরো বলা হয়েছে স্কুল চলাকালীন ছাত্রছাত্রী কিংবা শিক্ষক কেউই মাস্ক খুলবেন না। প্রতিটি স্কুলে আপৎকালীন চিকিৎসা এবং সাপ্তাহিক মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া স্কুল গুলিতে কোভিড সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর কথাও বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের এই ভিডিওতে।