নিজস্ব সংবাদদাতা: দু’মাসও হয়নি অভিশপ্ত ২০২০ কাটিয়ে নতুন বছরে পা দিয়েছে পৃথিবী। বিক্ষিপ্ত কিছু ক্ষেত্র ছাড়া করোনা অতিমারীর বিভীষিকা এখন অতীত। ভ্যাকসিনের আশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে যখন ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে হাঁটছে মানুষ, তখনই পশু পাখিদের মধ্যে অজানা রোগের সংক্রমণ নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিশেষজ্ঞ মহলের কপালে।

বার্ড ফ্লু সংক্রমণে দিন কয়েক আগেও বহু পাখি মৃত্যু্র খবর শোনা গিয়েছিল পশ্চিমের দেশগুলিতে। তবে এবার কুকুরের মধ্যে দেখা দিল নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব। অতি সংক্রমক পারভো ভাইরাসের প্রকোপে গত এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো কুকুরের, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। খোদ পশ্চিমবঙ্গে এহেন সংক্রমণ নিঃসন্দেহে রাজ্যবাসীর মধ্যে ছড়িয়েছে উদ্বেগ। জানা গেছে, করোনা অতিমারীর মতোই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রমণ। কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই মারা যাচ্ছে সারমেয়রা।

রাজ্যে পারভো ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে কুকুরের মধ্যেই। মানুষ কিংবা অন্য কোনও জীবজন্তুর শরীরে ছড়ায়নি। এ প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিক মহলের দাবি, পারভোর সে স্ট্রেন ছড়িয়েছে কুকুরের মধ্যে, তা মানুষের শরীরে ছড়ায় না। তবে ভাইরাস যে করোনার মতোই চরিত্র বদল করে মানুষের দিকেও ঝুঁকবে না, তেমনটা কিন্তু খুব জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।

প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পারভো ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা নেই। একবার শরীরে প্রবেশ করলে এর হাতেই মৃত্যু নিশ্চিত। কুকুরকে আগে থেকে টিকা দেওয়া থাকলে অবশ্য সংক্রমণ ঠেকানো যায়। পোষ্যদের ক্ষেত্রে সেই টিকাকরণ হয়েও থাকে। তবে নিরুপায় পথকুকুররাই। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে টিকাদানের ব্যবস্থা করা হলেও করোনার কারণে গত প্রায় এক বছর ধরে রাস্তার কুকুরদের পারভো ভাইরাসের টিকা দেওয়া প্রায় বন্ধ। এর ফলেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পথ কুকুরদের বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের আর্জি জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা।