নিজস্ব সংবাদদাতা: সাল ২০০৬। বাংলা ছায়াছবির জগত পেয়েছিল এক নতুন হিরো। নাম দীপক অধিকারী ওরফে দেব। পায়েলের সঙ্গে জুটি বেঁধে তাঁর অভিনীত ‘আই লাভ ইউ’ সেই বছরের ব্লকবাস্টার হিট ছিল। প্রথম সিনেমা সুপারহিট হতেই টলিউডের প্রথম সারির হিরোর তালিকায় উঠে এলেন তিনি। আর ঠিক তার পরের বছরেই টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি পেল আরও একটি চকলেট বয় ইমেজের হিরোকে। কোয়েল মল্লিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে তাঁর প্রথম বাংলা ছবি ‘নবাব নন্দিনী’ তুমুল হিট হলো। আর রাতারাতি পরিচিত মুখ হয়ে উঠলেন নতুন হিরো হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

এরপর একে একে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘জ্যাকপট’, ‘মন যে করে উড়ু উড়ু’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু তারপর হঠাৎই গায়েব হয়ে যান ইন্ডাস্ট্রি থেকে। ২০১৭ সালে ‘জিও পাগলা’ ছবিতে শেষ বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে ভোটে দাঁড়ানোয় অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল, অভিনয় জগতে নিজের জায়গা করতে না পারার জন্যই কি রাজনীতিতে পদার্পণ?

সম্প্রতি, এক বাংলা দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খড়গপুর সদর থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে জেতা হিরণ জানালেন, “২০০৭ থেকে প্রতি বছর আমি একটা করে ছবি করেছি। কোনও বছর একটার বেশি ছবি করিনি। আবার ২০১৭-তেও একটা ছবি করেছি। কেউ হয়তো বছরে ৫০টা ছবি করেছে। কিন্তু পুরো কেরিয়ারে মেরেকেটে হিট হয়েছে ৪-৫টা সিনেমা। এখনও টিভি খুলে দেখুন, ‘নবাব নন্দিনী’ দেখতে পাবেন বা ‘জামাই ৪২০’ দেখতে পাবেন। এ সব জানা সত্ত্বেও এই যে মিডিয়ার চাপিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা, হিরণ প্রথম পাঁচ বছর অনেক কিছু করেছে, আর তারপর কিছু করেনি…”

পাশাপাশি হিরণ তাঁর সেই সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, কমল হাসানকে আমরা অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ বলে জানি। কিন্তু আমার মতই কয়েকজনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় শুধুমাত্র তারকা প্রার্থী কথাটি। যা একপ্রকার ভুল। বিজেপির এই সাংসদ জানান, “আমি রাজনীতির জগতে নতুন নয়। গত ২২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। সিপিএমের গুণ্ডারা একসময় মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে চলে গিয়েছে। কলেজে পার্ট টু পরীক্ষা দিতে পারিনি। পরে ২০১৪ সালে আমি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্বপদও সামলেছি।” পাশাপাশি হিরণ জানাচ্ছেন, ভোটে জিতে এখন তাঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে যাবেন।