নিজস্ব সংবাদদাতা- দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক সমাবেশে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বক্তব্য শোনা যাবে। না, তিনি সম্ভবত সশরীরে উপস্থিত থাকবেন না ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডে। কিন্তু তার বক্তব্য রেকর্ড করে মাইকে বাজানো হবে বলে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে। বুদ্ধবাবু সমাবেশে আসার বিষয়ে আগ্রহী হলেও তার চিকিৎসকরা তাকে যাওয়ার অনুমতি দেননি। তাই অডিও ক্লিপ শোনানোর এই বিকল্প ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছেন মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।

এ রাজ্যের সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর ধীরে ধীরে অন্তরালে চলে যান এই প্রবীণ বামপন্থী রাজনীতিবিদ। গত কয়েক বছর ধরে তিনি কার্যত গৃহবন্দি। সিওপিডি পেশেন্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গত শীতে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে। সেই সঙ্গে তার চোখের দৃষ্টিশক্তিও অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি সংবাদপত্র পর্যন্ত পড়তে পারেন না, তার সহকারি প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ে তাকে শোনান।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বর্তমানে প্রায় শয্যাশায়ী বলে তার দল সিপিএম সূত্রে খবর। কিন্তু এই প্রবীণ বামপন্থী নেতার মন থেকে প্রতিবাদের আগুন আজও নিভে যায়নি। তাই একুশের বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে জেগে ওঠা এ রাজ্যের বামপন্থীরা কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে এক জোটে ব্রিগেডে যে সমাবেশ করতে চলেছে তাতে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি অস্থির হয়ে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের অনুমতি না মেলায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বক্তব্য রেকর্ড করে এনে ব্রিগেডে উপস্থিত জনতাকে শোনানো হবে।

সিপিএম রাজ্য কমিটির এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর এই বামপন্থী দলটির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তারা সবাই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এখন দেখার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পেট টক আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ রাজ্যের মহাজোট শিবিরকে কতটা অক্সিজেন যোগায়।