নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা আবহ এখনও পুরোপুরি কেটে যায়নি। তারমধ্যেই বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটযুদ্ধ। যা নিয়ে আপাতত সরগরম রয়েছে গোটা বাংলা। তার ওপর সূর্যের তাপে গরমও পড়েছে জাঁকিয়ে। আর সেই উত্তাপ গায়ে মেখে এই ভরা গ্রীষ্মেই মা দুর্গা পাড়ি দিলেন সুদূর সিডনিতে। এখন ভোটের মধ্যেই পুজোর গন্ধ কুমোরটুলিতে। তৈরি হয়ে গিয়েছে মূর্তি। এবার শুধু জাহাজে চড়ে যাওয়ার পালা। একেবারে অন্যরকম দেখতে মা দুর্গা। কালো ব্যাকগ্রাউন্ড। কালো শাড়িতে মা যেন একেবারে ঘরের মেয়ে। দু’পাশে দাঁড়ানো কার্ত্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী। মা দুর্গা ৯ ফুট লম্বা। তাঁর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ১৪ ফুট চওড়া। পুরো প্রতিমাটিই বানানো হয়েছে ফাইবার দিয়ে।

গত কয়েক মাসে ফের গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে দেশের মোট ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন থাকার ফলে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তবে ভোট মিটলেই হয়ত কেন্দ্র কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। পাছে যদি আবার গতবারের মতো লকডাউন নেমে আসে কপালে, তাই আগেভাগেই প্রতিমার অর্ডার এবার কুমারটুলিতে। প্রতিমা চলেও যাচ্ছে জাহাজে চেপে পুজোর অনেক আগেই। শিল্পী কৌশিক ঘোষের কথায়, প্রতিবারই অর্ডার আসে বিদেশ থেকে। তবে এবার একটু আগেই ইউএসএ এবং কানাডাতেও ঠাকুর চলে গিয়েছে। এবার যাচ্ছে সিডনি।

কিন্তু এত তাড়াতাড়ি কেন ঠাকুর যাচ্ছে বিদেশে? শিল্পী জানান, এখন নিয়ে রেখে দেবেন ওখানকার উদ্যোক্তারা। পুজোর সময় পুজো হবে। গতবার তো লকডাউনের কারণে বহু জায়গায় পুজোও হল না। যার ফলে ঠাকুরও গেল না। তাছাড়া ওখানে তো আর বিসর্জনের দিন জলে ফেলা হয় না ঠাকুর। ওই ঠাকুরই আবারও পুজো হয়। ফলে পুজোর দু’দিন আগেই যে প্রতিমা ঢুকবে তেমন কোনো ব্যাপার নেই। আগেভাগেই তাই ঠাকুর রওনা হচ্ছে। ইতালি থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে দুবাই। প্রতিবছরই পুজোর আগে প্রতিমা যায় কুমারটুলি থেকে। গতবছর লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতিতে সেভাবে পুজো হয়নি বিদেশে। যার ফলে প্রতিমাও গিয়েছে কম। এবার তাই আগেভাগেই প্রতিমা নিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসী বাঙালীরা। জাহাজে করে সিডনি যেতে মাস দেড়েক সময় লাগবে। অন্তত তেমনটাই জানান শিল্পী।