রাষ্ট্র তথা সরকার করোনার প্রভাব দূর করতে কি কি সতর্কতাজনিত পদক্ষেপ নিতে পারে?
এক বছর প্রায় অতিক্রান্ত, কিন্তু করোনার প্রকোপে এখনও বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রই জর্জরিত। আমেরিকায় শুধু করোনার কারণেই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ২৭৩১। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও চিত্রটা খুব ভালো নয়। রোজ প্রায় ৪০০০ লোক নতুন করে সংক্রামিত হচ্ছেন। আর ভারতবর্ষে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৩৬০০০ মানুষ (শনিবারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩৬৬৫২)। সারা বিশ্ব জুড়ে ৬৬ মিলিয়ন মানুষ এই অতি-মারির স্বীকার হয়েছেন।
সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। গাণিতিক সংখ্যার হেরফের ছাড়া অসহায়তা সব জায়গাতেই সমান। নিউজিল্যান্ডের অবস্থাটা কয়েকমাস আগেও একটু আশাজনক দেখা গেলেও এখন আবার তা পুনঃমূষিক ভবঃ। নতুন করে আবার করোনার সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে সব রাষ্ট্রেই। কিন্তু কেন হচ্ছে এরকম? প্রয়োজনীয় সমস্ত বিধি কি মানা হচ্ছে না তবে? ফাঁক থেকে যাচ্ছে সতর্কতা গ্রহণে?
হাটে বাজারে মানুষ মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যাবহার করছে, কিন্তু হ্যাঁ জনবহুল অঞ্চলে দূরত্ববিধি মানার ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েই গেছে। রুটি রুজির প্রয়োজনের থেকে মানুষ এখন এই মারণ ব্যাধি করোনার থেকে বাঁচার টিকার প্রয়োজন বেশি উপলব্ধি করছে। সংক্রমণ ঠেকাতে যা যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বিধি রয়েছে তা পালনের পরেও টিকার আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব জুড়ে সমস্ত রাষ্ট্রই এখন করোনার টিকা আবিষ্কারের পথে ছুটছে।
অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকা
মডার্না
ফাইজার বায়এন্টেক
গামালিয়া ইনস্টিটিউট
জাইডাস ক্যাডিলা
নোভাভ্যাক্স
ভারত বায়োটেক (আই.সি.এম.আর)
প্রতিটি রাষ্ট্র এখন এই সংস্থাগুলির দিকেই তাকিয়ে আছে। করোনার টিকা প্রস্তুতের পর তার ট্রায়াল মানুষের উপর কি রকম হয় তাও একটি দেখার বিষয় কারণ প্রস্তুতের পর পরই টিকা সকলের উপর প্রয়োগ করা যাবে না। পরীক্ষাধীন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সব দেশেই শুরু হয়ে গেছে। করোনার প্রতিষেধকের দৌড়ে যে সাত সংস্থা এগিয়ে আছে তার মধ্যে প্রথম ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকা। তাদের বানানো ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৪ ডলার। ভারত বায়োটেক (আই.সি.এম.আর) আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের দাম এখনও নির্ধারিত হয়নি।
https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcRCwk7lvX_pYAMJuNjEDZTgT845xlQMzQSAEg&usqp=CAU
https://www.googleadservices.com/pagead/aclk?sa=L&ai=DChcSEwihwdTmhLntAhWSfysKHf6eBjQYABAAGgJzZg&ae=2&ohost=www.google.com&cid=CAESQeD26DihZOn6dgRBHtCQ7nnA_dBeO9efTd0xvpLmvTF5B64Aeh-nrmGxSMUQcPA2QDBxw6G4EGsbHtZcDpbVRvNP&sig=AOD64_2mCluYx3tY3HJAd9GSK8EPg4Njow&q&adurl&ved=2ahUKEwiKgsvmhLntAhXTbn0KHe4XCmgQ0Qx6BAgGEAE
পরীক্ষাধীন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু মানুষের উপরেও ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ভারতবর্ষেও। কদিন আগেই হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ করোনার প্রতিষেধকের ট্রায়ালে অংশ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত্র হয়েছেন। শুধু এদেশেই নয় প্রতিষেধকের দৌড়ে যে সাত সংস্থার নাম উঠে এসেছে তাদের আবিষ্কৃত প্রায় সবার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালেই আক্রান্ত্র হয়েছে অনেকে।
যেমন -অক্সফোর্ড কর্তৃক আবিষ্কৃত করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে যে সব স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিল তাদের প্রায় সকলের মধ্যেই কোভিড পজিটিভের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। মডার্নার আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত্র হয়েছে শতকরা ২% ও অন্যদিকে ফাইজার বায়এন্টেকের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার ৮% মানুষের আক্রান্ত্র হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
https://www.nationalgeographic.com/science/health-and-human-body/human-diseases/coronavirus-vaccine-tracker-how-they-work-latest-developments-cvd/