66th Annual Golden Globe Awards...epa01597334 A handout photo provided by the Hollywood Foreign Press Association shows US director Steven Spielberg with his Cecil B. DeMille Award for Outstanding Contribution to the Entertainment Field on stage at the The 66th Annual Golden Globe Awards at the Beverly Hilton Hotel in Beverly Hills, California, USA, 11 January 2009. The Golden Globes honour excellence in film and television. These photos may only be used by the HFPA members solely related to their own work for publication in newspapers, magazines, and future books, and shall not be sold, given or loaned to non-members. They may not duplicated, or given to or published by USA tabloids. They are for editorial use only. No model release, commercial use or any other use. EPA/HOLLYWOOD FOREIGN PRESS ASSOCIATION / HO EDITORIAL USE ONLY .

আজ ১৮ই ডিসেম্বর । বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের জন্মদিন। ১৯৪৬ সালের ঠিক আজকের দিনে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন এই মহান পরিচালক । তিনি শুধুই একজন সফল মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালকই নন, তিনি প্রযোজনাও করেছেন অনেক ছবি। তিনবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব।এমনকি, শুধুমাত্র চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনকারী পরিচালক হিসেবেও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি। টাইম সাময়িকী তাকে শতাব্দীর সেরা ১০০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় তার নাম সংযুক্ত করেছে। লাইফ সাময়িকী অনুসারে বিংশ শতাব্দীর শেষে তিনি নিজ প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এর অধিকারী।

স্টিভেন স্পিলবার্গ
Mandatory Credit: Photo by Henry Lamb/Photowire/BEImage/BEI/Shutterstock (5212864ap) Steven Spielberg ‘Bridge of Spies’ film premiere, New York Film Festival, America – 04 Oct 2015

স্টিভেন স্পিলবার্গের জীবনী :

steven spielberg 0
Photo source : Den of geek

তিনি খুব অল্প বয়সেই তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন । ছোট বেলায় তিনি তার বাড়ির সাধারণ ক্যামেরা দিয়েই ছোট ছোট ভিডিও করতেন।এই ভাবেই তিনি প্রথম সিনেমার জগতে পা রাখেন। স্পিলবার্গ এর স্বপ্ন ছিল যে তিনি একজন চলচিত্র পরিচালক হবে। পরবর্তীকালে তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সেই স্বপ্ন সত্যি হয়ে ওঠে এবং আজ তিনি পৃথিবীর সেরা পরিচালক দের মধ্যে একজন।

014ce20d8570d694d3c6288d0b447d66
Photo source : pinterest

ছোট্ট স্টিভেন স্পিলবার্গ ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত রাব্বি আলবার্ট এল লুইসের অধীনে হিব্রু স্কুলে পড়ালেখা করেন। গোঁড়া ধর্মীয় পরিবারে জন্ম নেয়ায় ছোট্ট স্পিলবার্গকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। ১৯৫৮ সালে স্টিভেন বয়স্কাউট হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানেই ফটোগ্রাফির নাড়িনক্ষত্র জানেন।তার মা লিয়া পসনার ছিলেন পিয়ানিস্ট। বাবা আর্নল্ড স্পিলবার্গ ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।স্পিলবার্গের চলচ্চিত্র জীবন প্রায় চার দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ভিন্ন ভিন্ন অনেকগুলো ধরন নিয়ে কাজ করেছেন। ১৯৭০, ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী তিনটি চলচ্চিত্রেরই নির্মাতা তিনি। এই চলচ্চিত্র তিনটি হল যথাক্রমে জস, ইটি দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল এবং জুরাসিক পার্ক।

be79175aa0af033041f300a08aeb9a62 celebrity yearbook photos young celebrities
Photo source: pinterest

চলচ্চিত্র জীবনের প্রথম দিকে তিনি যেসব বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক এবং অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সেগুলোকে হলিউডের আধুনিক ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের আর্কটাইপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান সময়ে তিনি মানবিক আবেগের দিক দিয়ে ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী বিষয়সমূহকে তার চলচ্চিত্রের ধরন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে দাসপ্রথা, যুদ্ধ এবং সন্ত্রাস। দ্য লাস্ট গানফাইট নামের ৮ মিলিমিটারের একটি ৯ মিনিটের ছবি তৈরি করে তার মেধার প্রমাণ দেন। পরের বছরই ফটোগ্রাফির মেরিট ব্যাজ অর্জন করেন।

১৩ বছর বয়সে ফোনিক্সে থাকাকালীন ৪০ মিনিটের এস্কেপ টু নাওহয়্যার নামের একটি যুদ্ধের ছবি বানিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে নেন। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি ফায়ারলাইট নামে একটি ছবি প্রযোজনা করেন।ইউনিভার্সেল থেকে স্পিলবার্গ প্রথম ফিচার ফিল্ম তৈরি করেন ১৯৭৪ সালে। নাটকীয় কমেডিভিত্তিক এ ছবির নাম সুগারল্যান্ড এক্সপ্রেস। ছবিটির মুক্তির পর চারদিকে আলোড়ন ওঠে এবং ছবিটি কান চলচ্চিত্রের উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার জিতে নেয়।স্পিলবার্গ পরবর্তীকালে দ্য কালার পার্পল (১৯৯৫), সান এর সাম্রাজ্য (১৯৮৭), শিন্ডলারের তালিকা (১৯৯৬), এমিস্টাড (১৯৯৭) এবং সেভিং প্রাইভেট রায়ান (১৯৯৮) এর সাথে পরবর্তী কাজগুলিতে গুরুতর সমস্যাগুলির সমাধানে রূপান্তরিত হয়েছিল।

gettyimages 52032875
Photo source: pinterest

তিনি একবিংশ শতাব্দীতে মুনিচ (২০০৫), লিংকন (২০১২), ব্রিজ অব স্পাইস (২০১৫) এবং দ্য পোস্ট (২০১৭) এর সাথে একুশতম শতাব্দীর এই প্রথাটি মেনে চলেন, যদিও তখন থেকে অতিরিক্ত ছবিতে এআই: কৃত্রিম গোয়েন্দা (২০০১) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে , সংখ্যালঘু প্রতিবেদন (২০০২), তার ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ল্ডের ২০০৫ এর অভিযোজন, এবং প্রস্তুত প্লেয়ার ওয়ান (২০২৮)।১৯৮২ সালে স্পিলবার্গ আরো বৃহৎ পরিসরে নিজেকে তৈরি করেন। এ বছর তার নিজস্ব ষ্টুডিও এমব্লিন প্রযোজনা শুরু করে ‘ইটি’ ছবিটি দিয়ে। স্পিলবার্গের চলচ্চিত্র জীবন প্রায় চার দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ভিন্ন ভিন্ন অনেকগুলো ধরন নিয়ে কাজ করেছেন।

১৯৭০, ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী তিনটি চলচ্চিত্রেরই নির্মাতা তিনি। এই চলচ্চিত্র তিনটি হল যথাক্রমে জস, ইটি দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল এবং জুরাসিক পার্ক। চলচ্চিত্র জীবনের প্রথম দিকে তিনি যেসব বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক এবং অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সেগুলোকে হলিউডের আধুনিক ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের আর্কটাইপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। চলচ্চিত্রের নোবেল পুরস্কারখ্যাত অস্কার ছাড়াও তিনি ভূষিত হয়েছেন দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কারে। পেয়েছেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নাইটহুড উপাধি। তাছাড়া তিনি আরও অনেক পুরস্কার পান যেমন- স্যাটার্ন পুরস্কার (সেরা পরিচালনা),স্যাটার্ন পুরস্কার ,১৯৭৭ ক্লোজ এনকাউন্টারস অফ দ্য থার্ড কাইন্ড,২০০১ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই,এনবিআর পুরস্কার (সেরা পরচালক)১৯৮৭ এম্পায়ার অফ দ্য সান,এএফআই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার ইত্যাদি।আগামীকালেও তার আরও নতুন ছবির অপেক্ষায় থাকবে গোটা বিশ্ব।

আরও পড়ুন, https://www.banglakhabor.in/দীপিকা-ও-রণবীর-যে-5-টি-কারনে/amp/