loan

অর্থ আপনার সমস্যার সমাধান নয়, যদি না আপনি এটি কীভাবে ব্যবহার করতে জানেন

Dinesh Das (www.fairfinance.in)

এটি  সঞ্চয় এর নয় বরঞ্চ ঋণ নেওয়ার সময় :

এই জিনিসটি বুঝতে হবে আপনাকে যেটি খুবই সহজ  যে,  যখন আপনি দেখছেন ব্যাংকের সুদের হার কমে গেছে অর্থাৎ আপনি যত টাকা সঞ্চয় করতে চাইছেন না কেন তাতে আপনার প্রাপ্ত হিসাবে যে সুদ প্রদেয় হবে তা কখনোই যথেষ্ট নয়। অর্থাৎ আপনাকে সর্বদাই দেখতে হবে যে যদি কখনোই মুদ্রাস্ফীতি বা ইনফ্লেশন এর শতকরা হার আপনার প্রাপ্ত লভ্যাংশ অথবা সুদের হারের থেকে বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নির্দিষ্ট পরিকল্পনাতে অর্থ সঞ্চয় করে।  সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বলব অর্থ-এই  উপায় সঞ্চয় না করে ভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

একটু সস্তা ও সোজা ভাবে বলতে গেলে যদি দেখেন ব্যাংক আপনাকে যে সুদ দিচ্ছে তা কোন রূপে মুদ্রাস্ফীতির (inflation) হার এর থেকে কম, সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের টাকা দিলে আপনি বোকা হয়ে যাবেন।  অন্য উপায়ে টাকা জমানোর চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ।  কারণ আপনি 100 টাকা দিয়ে যদি তাতে 5 টাকা বাৎসরিক সুদ পান কিন্তু দেখেন যে মুদ্রাস্ফীতি (অর্থাৎ সোজা কথায় বছর গেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অথবা অন্যভাবে বলতে গেলে বস্তুর তুলনায় টাকার দাম যে হারে কমে যায়) তার হার শতকরা 10 টাকা বা 100 টাকায় 10 টাকা তাহলে ব্যাংকে টাকা জমা লেও আপনি 100 টাকা দিয়ে তার বাজারমূল্য হয় 95 টাকা।  এটি বোকামি ছাড়া আর কি বলুন।

ব্যাংক

তবে উপায় ঃ

এ থেকে বলবো খুবই সহজ উপায় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব,  তা হল হয়তোবা আপনাকে আপনার ইচ্ছাকৃত যে সঞ্চয় এর মূল্য বা টাকা আপনি ব্যাংকে রাখতে চাইছেন তারা সেখানে না রেখে কোন ব্যবসার মাধ্যমে অথবা জমি-বাড়ি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট কিনে লাভবান হতে পারেন।  কারণ এইগুলির বাজার মূল্য সব সময় মুদ্রাস্ফীতির হার এর থেকেও খুবই বেশি পরিমাণে বাড়তে থাকে। এছাড়া যদি আপনার যথেষ্ট বিচার-বিবেচনা থাকে শেয়ার মার্কেটে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারেন,  কারণ তারা লভ্যাংশ ফেরতের শতকরা হার এক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি হয় যদিও তা লম্বা সময়ের জন্য বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয়।

সুদের উপর এ  সুদের লাভ ঃ

কথাটা শুনতে হাস্যকর হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  যদি কিনা আপনার কোন পুরনো লোন কিংবা ঋণ আছে যা আপনি দিচ্ছেন এবং তার ক্ষেত্রে এক বছর কিংবা তারও অধিক মেয়াদী সময়সীমা পড়ে আছে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার ব্যাংক ছাড়া অন্য যেকোন ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গুলির সাথে যোগাযোগ করুন আপনি মোটা অংকের লাভবান হবেন।

বিষয়টি  ভেঙে বলি,  যদি আপনার পুরাতন কোনো ঋণ চলছে যার সুদের হার 10  টাকা সে ক্ষেত্রে যেহেতু সার্বিকভাবে ব্যাংক এবং ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলির সুদের হার কমে গেছে তো এটাই উপযুক্ত সময় আপনি সেই চলমান ঋণ থেকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার পদ্ধতির দ্বারা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে লাভবান হতে পারবেন।  এক্ষেত্রে এটি অবশ্যই গ্যারান্টি যোগ্য যে নতুন পরিহার্য সুদের হার পুরাতন সুদের থেকে বেশ কিছু কম হবে,  যার প্রভাব আপনি মাসিক ইএমআই এবং প্রদেয় সুদের পরিমাণে খুবই বড় ধরনের প্রভাব দেখতে পারবেন।

loan

নতুন করে ঋণ আবেদন করুন ঃ

যেহেতু ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপরে খুব বেশি করে প্রভাব পড়ার দরুন আপনার সুদের হার গুলিতে নিম্নমুখী প্রভাব,  সে ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য যে এই ধরনের অবস্থায় সরকারি এবং বেসরকারি এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি দ্বারা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও ছাড় দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে নতুন ঋণ আবেদন করা সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ।  এবং তা পেয়ে গেলে অবশ্যই আপনার  সুবুদ্ধি ব্যবহার করে বাজার থেকে মোটা টাকা মুনাফা করতে পারবেন।