নিজস্ব সংবাদদাতা- সরস্বতী পুজোর সময় থেকে টলিউড অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক অরিন্দম শীলের শিবির বদলানো নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। গতকাল টলিউডের বিজেপি পন্থী হিসেবে পরিচিতদের পক্ষ থেকে প্রায় একরকম নিশ্চিত করে জানিয়ে দেওয়া হয় একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অরিন্দমের গেরুয়া শিবিরে সামিল হ‌ওয়া একরকম নিশ্চিত। যদিও এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন যাবতীয় জল্পনা ভিত্তিহীন, আপাতত তিনি পদ্ম শিবিরে যাচ্ছেন না।

বাম আমলে অরিন্দম শীল কট্টর বামপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এমনকি নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনার পর একাধিক সংবাদ মাধ্যমে বসে তিনি বামেদের হয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে ২০১১ সালে রাজ্যের তৃণমূল সরকার গঠিত হওয়ার কিছুদিন পর শিবির বদলে হঠাৎই মমতা পন্থী হয়ে ওঠেন অরিন্দম শীল। এর পর তাকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি ভোটের সময় তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারেও দেখা গিয়েছে।

বাম থেকে তৃণমূল হওয়া টলিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয় একদা বামপন্থী অরিন্দম গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তার সাম্প্রতিককালের দূরত্ব এই জল্পনায় আরও ইন্ধন জোগায়। যদিও তিনি নিজের মুখে কখনোই ঘোষণা করেননি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা।

সরস্বতী পুজোর পর থেকে শুরু হওয়া গুঞ্জনের উত্তর দিতে গিয়েই আজ এক প্রকার মুখ খুলতে বাধ্য হলেন অরিন্দম শীল। তিনি বলেন, “আমি বিজেপিতে যাচ্ছি না। এটা বিজেপির নিচু তলা থেকে ওপর তলা পর্যন্ত সমস্ত নেতা জানেন। সত্যি বলতে কি আমার আর রাজনীতির সঙ্গে সংস্পর্শ রাখার ইচ্ছে নেই। আমি সিনেমার মানুষ, সিনেমা নিয়েই থাকতে চাই। সেই সঙ্গে সমাজসেবার যা কাজকর্ম করি সেইগুলো চালিয়ে যাব।”

গোটা বিষয়টি সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহাল তাদের মতে অরিন্দম শীলের রাজনীতির প্রতি বৈরাগ্য এমনি এমনি নয়, নিশ্চয় পিছনে কোনো কারণ আছে। নাহলে এই সেদিন পর্যন্ত রাজনীতি নিয়ে এতটা সরব একজন হঠাৎ করে রাজনীতি বিমুখ হয়ে উঠলেন, তা হতে পারে না! শিবির বদল নিয়ে তিনি হয়তো চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন। পরে বিশেষ কোনো কারণে বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।