নিজস্ব সংবাদদাতাঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমীকরণের জটিলতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট।পীরজাদা আব্বাস সিদ্দীকির এই নতুন দলকে পাত্তা দিচ্ছেন না অনেকেই,কিন্তু এবারের ভোট সমীকরণকে ঘুরিয়ে দিয়ে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন তিনি।ফলে নতুন এই দল আশা জাগাচ্ছে সংযুক্ত মোর্চা শিবিরে।অন্তত পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে চলেছেন আব্বাস সিদ্দীকি,সে বিষয়ে আশাবাদী জোট শরিকরা।

বঙ্গ ভোটের আগে রাজনৈতিক দল গুলির জাঁকজমকপূর্ণ প্রচারের যে ছবিটা দেখা যাচ্ছে হামেশাই,তাতে কিন্তু তৃণমূল আর বিজেপিকে একেবারে সমানতালে টেক্কা দিতে পারছে না সংযুক্ত মোর্চা।কিন্তু মিডিয়া প্রচারে যে ছবি সামনে আসছে তা কি হুবহু বাস্তব?না কি তা থেকে হুবহু বাস্তবটা আন্দাজ করে নেওয়া যায়?বলা বাহুল্য,যায় না।এবারের ভোটে শুধু আব্বাস সিদ্দীকির দলই নয়,সমগ্র সংযুক্ত মোর্চা শিবিরই জাঁকজমকপূর্ণ প্রচারের বদলে বেছে নিয়েছে জনসংযোগকে।আর সেই দিক দিয়ে বিচার করলে কিন্তু প্রচারে তৃণমূল বিজেপিকে বলে বলে গোল দেবে সংযুক্ত মোর্চা।তাঁদের তরুণ তুর্কি।বিশেষত আব্বাস সিদ্দীকি যেখানেই যাচ্ছেন,সেখানেই যেন ঝড় উঠছে প্রচারে।নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে ভাঙর কিংবা হুগলী, আব্বাস সিদ্দীকিকে দেখতেই জমে যাচ্ছে ভিড়। আর এ ভিড়ের আসল চেহারা যদি দেখেন নরেন্দ্র মোদি কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল,কপালে কিন্তু চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য।

গ্রাম বাংলার কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়িয়ে জমায়েতের জনতাকে ঠিক কী বলছেন আব্বাস?মূলত তৃণমূল বিজেপিকে একযোগে বেঁধাই এখন আইএসএফ নেতার একমাত্র কর্মসূচী।বারবার তাঁর মুখে উঠে এসেছে, “বাংলায় বিজেপিকে হারাতে গেলে আগে তৃণমূলকে হারাতে হবে”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া রং প্রবেশ করেছে,দাবি করেছেন তিনি।শুধু তাই নয়,বাংলায় তৃণমূল শাসনেই হিন্দু মুসলিম বিভাজন জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আব্বাস। তাঁর ব্যাখ্যা,“অতীতে কয়েকশো বার দুর্গাপুজোর দিন মহরম পড়েছে।একবারও কি তার জন্য বিসর্জন বন্ধ হয়েছে? হয়নি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ করেছেন”। ক্ষুরধার বক্তৃতা,তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠ, আব্বাস সিদ্দীকিতে কিন্তু মজেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁর জনসভায় একটু খেয়াল করলেই দেখা যাচ্ছে তরুণদের ভিড়।ভোটবাক্সে এই উন্মাদনার কতটা প্রভাব পড়ে সেটাই এখন দেখার।