নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একদিকে যখন রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে বঙ্গ রাজনীতিতে উত্তাপের পারদ চড়ছে, তখনি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুর্নীতি রোধে বেড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা। কয়লা ও গোরু পাচার কাণ্ডে বেশ কিছুদিন ধরেই একাধিক শমন জারি করেছে সিবিআই। তাঁদের তদন্তে উঠে এসেছে বড় বড় নামও। সেই আবহেই এবার গোয়েন্দা সংস্থার দোসর হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।
গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে কয়লা পাচার কাণ্ডের বিষয়ে নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এবার ফের অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। কলকাতার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়েকে আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি থাকায় তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। মন্ত্রীকন্যা প্রিয়দর্শিনীর তরফ থেকে অবশ্য এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল নেতাও।
ঠিক কী কারণে শমন জারি করা হল ববি হাকিমের মেয়ের উদ্দেশ্যে? ইডি সূত্রের খবরে জানা গেছে, প্রিয়দর্শিনীর স্বামী ইয়াসিস হায়দার গত কয়েক বছরে বেশ ক’বার বিদেশে গিয়েছেন। এই বিদেশ সফরের পিছনে কোনো গোপন দুর্নীতিমূলক উদ্দেশ্য জড়িয়ে আছে কিনা তাই খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। বিগত কয়েকবছর ধরে নজর রাখা হয়েছে প্রিয়দর্শিনী ও তাঁর স্বামীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপর৷ কোনও অসঙ্গতি আছে কি না, তা নজর রাখছে ইডি৷
বস্তুত, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী বর্তমানে কাজ করেন বিদ্যুৎ সংস্থায়। তিনি যে কাজ করেন তাতে এই বিপুল অর্থ লেনদেন সম্ভব নয়, যা তিনি করেছেন। ইডির সন্দেহের তালিকায় তাই যোগ হয়েছে তাঁর নাম। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে গতকালই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাঁর স্ত্রীর খোঁজে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে এদিন তার জবাবও পাঠিয়েছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাক্রমকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা।