নিজস্ব সংবাদদাতা- এবার দিলীপ ঘোষের মুখেও খেলা হওয়ার কথা। আজ নিজের গড় মেদিনীপুরে পরিবর্তন যাত্রা রথে স‌ওয়ার হন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলায় পরিবর্তনের খেলা হবে।” এই খেলায় তাদের জয়লাভ নিশ্চিত বলেও দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন রাজ্যের যুবকদের কর্মসংস্থানের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই সঙ্গে তিনি বলেন পরিবর্তন যাত্রা রথ বাংলার রাজনীতির পরিবর্তন ঘটাবে। এই পরিবর্তন তাদের হাত ধরেই ঘটবে বলে উল্লেখ করতে ভোলেননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি।  সেই সঙ্গে তিনি বলেন মেদিনীপুরে সন্ত্রাসের রাজনীতির পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে তাদের এই রথ যাত্রা। জঙ্গলমহলের মানুষ পরিবর্তন ঘটাতে ভয় পায় না বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।

এই মুহূর্তে তৃণমূলে মাত্র দুজন নেতা আছে বলেও দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের শাসক দলের বাকি নেতারা সব তৃণমূল ছেড়ে আমাদের দলে এসে সামিল হয়েছেন। রাজ্যের মানুষকে শান্তি দিতে ও কাটমানির কবল থেকে মুক্ত করতে গোটা রাজ্য জুড়ে পরিবর্তনের খেলা হবে।”

প্রসঙ্গত খেলা হওয়ার কথাটি প্রথম উল্লেখ করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর সেই স্লোগান বেশ কিছু তৃণমূল ও বিজেপি নেতার মুখেও শোনা যায়। এমনকি নবান্ন অভিযানের দিন বাম ছাত্র-যুবদের মুখেও খেলা হওয়ার কথা ছিল। বলতে গেলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে খেলা হ‌ওয়ার এই স্লোগানটি।

প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রটিও তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন। কিন্তু ওই বছরেই খড়্গপুর বিধানসভার উপ নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে হেরে যায় বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দীলিপ বাবুর নিজের ঘর বলে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরে সাংগঠনিক শক্তি নতুন করে জোরদার করার পাশাপাশি ভোটারদেরকেও আবার নতুন করে পদ্ম শিবিরের দিকে টেনে আনাটাও দিলীপ ঘোষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। দেখার তার খেলা হওয়ার মন্ত্র দিয়ে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটে কিনা।