আবেদন না করেই চাকরির সুপারিশপত্র হাতে পেয়েছেন অনেকে। এসএসসি গ্রুপ-সি তে এমন বেআইনি নিয়োগের সংখ্যা ৩৮১-র বেশি। সম্প্রতি তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ চাকরি প্রাপ্তদের স্কুলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তে। বাগ কমিটির রিপোর্টে যে সমস্ত দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে তার বাইরেও নানারকম দুর্নীতির বিষয় নজরে আসছে সিবিআই-এর।
সিবিআই-এর দাবি, ৩৮১-র বেশি এমন প্রার্থী আছেন যারা চাকরির আবেদনই করেননি কিন্তু চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। তারা যখন স্কুলে যোগ দিতে যান তখন পরিচালন সমিতি বা শিক্ষকদের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। সেইসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের স্কুলে ঢোকানো হয়েছে। গত কয়েকদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনে তল্লাসি চালিয়ে এই তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এসএসসি দফতর সিল করেছিল সিবিআই। গত কয়েকদিনের তল্লাসির পর কিছু নথিপত্র, ফাইল ও হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই গোয়েন্দারা। এছাড়া মামলাকারীদের কাছ থেকেও কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সম্প্রতি ৩ মামলাকারীকে সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় গোয়েন্দারা। তাদের থেকেও কিছু হার্ডডিস্ক পেয়েছেন সিবিআই কর্তারা।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরুর পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। উঠে এসেছে রাজ্যের একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মন্ত্রী কন্যাকে বেআইনি চাকরি দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরপর এমন তথ্য সামনে আসতে থাকায় স্বভাবতই বেসামাল রাজ্যের শাসক দল। বারবার সিবিআই-কে আক্রমণ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাতেও অবশ্য তদন্ত সমান গতিতেই চলছে এবং একের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। শিক্ষামহলের একাংশের প্রশ্ন আরও কতো দুর্নীতির তথ্য হাতে আসবে সেটাই এখন দেখার!