নিজস্ব সংবাদদাতা :- গরু পাচার কাণ্ডে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার দিনই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে রেল ও ইসিএলের অন্তর্গত এলাকা ছাড়া রাজ্যের বাকি সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালাতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অনুমতি নিতে হবে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিটিকে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি রাজ্য সরকার অনুমতি না দিলে কয়লা পাচার কান্ডের তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য তারা ডিভিশন বেঞ্চে করা আবেদনে দাবি জানিয়েছে রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই তল্লাশি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাদের যেন অনুমতি দেওয়া হয়।সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ওপর নির্ভর করছে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তের ভবিষ্যৎ।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্য সরকার ভোটের আগে সিবিআইকে কোনোমতেই অনুমতি দিতে চাইবে না। বা একান্তই যদি অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল বেঁধে দিয়ে তার মধ্যেই যাবতীয় কাজ চালাতে বলবে। স্বাভাবিকভাবেই এই তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কয়লা দুর্নীতির ফসল ঘরে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সিবিআইকে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি।

আর এক সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবির। এই রাজ্যের তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ বাম-কংগ্রেস জোট চায় নিরপেক্ষভাবে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত চালিয়ে যাক সিবিআই। তাদের অভিযোগ এই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসকদলের ঘনিষ্ঠরাই জড়িত।

এদিকে কয়লা পাচার কান্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে আজ বাঁকুড়ার মেজিয়া কয়লা খনি অঞ্চলে অভিযান চালানো হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। তদন্তকারী অফিসাররা ঘটনাস্থলে গিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ফিতে দিয়ে কয়লা খনির গভীরতাও মাপেন। পরে ইসিএলের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তারা কথা বলেন।