নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল রাজ্যসভায় কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ-সহ আরও বাকি বিদায়ী সাংসদদের জন্য বক্তৃতা করার সময় হঠাৎই কেঁদে ফেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সেই কান্নার দৃশ্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ সেই কান্নাকে ‘কুমিরের কান্না’ বলে কটাক্ষ করেছেন। আর এবার কান্না নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম

11 14 43 images

বিজেপি সবাইকে কিনতে, বিক্রি করতে পেরেছে। কিন্তু কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ গুলাম নবি আজাদকে কিনতে পারেনি। সেই আক্ষেপের জন্যই সংসদে কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এমনই মন্তব্য করেছেন সেলিম। সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সেলিম বলেন, ‘‘এটাকে কুমিরের কান্না বলব না। কান্না অনেক প্রকার হয়। এটা মরা কান্না, মায়া কান্না হতে পারে। কারণ সবাইকে কিনতে, বেচতে পেরেছেন, কিন্তু গুলাম নবি আজাদকে কিনতে পারেননি। তাই হয়তো কাঁদছেন।’’

গণতন্ত্রে বিরোধীদের মর্যাদার কথা বলা হলেও, মোদী জমানায় বিরোধীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন সেলিম। তাঁর কথায়, ‘‘মোদী তো বিরোধী-শূন্য করার কথা বলেছিলেন। কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলেছিলেন। তাঁদের তো এটাই রাজনীতি। এখন আবার হতাশা কেন?’’ গত সোমবার সংসদে মোদী কৃষক আন্দোলনে জড়িত বিরোধীদের ‘আন্দোলনজীবী’ বলেছিলেন।

মোদীর ওই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সেলিমের আক্রমণ, ‘‘আরএসএসের একজন প্রচারকই এই কথা বলতে পারেন। কারণ তাঁরা দেশের মানুষের জন্য কোনওদিনই সত্যিকারের আন্দোলন করেননি। নাটক করেছেন, ফটোশপ করেছেন, ফটোসেশন করেছেন। প্রয়োজনে ইংরেজদের কাছে মুচলেকাও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথাগুলো ফ্যাসিবাদের একটা সংজ্ঞা মাত্র।’’

বঙ্গ সফরে এসে মোদী তৃণমূলকে ‘রামকার্ড’ দেখানোর কথা বলেছিলেন। মোদীর ওই কথার মাধ্যমে বিজেপি বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে দাবি করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে ফুটবলের উদাহরণ দিচ্ছেন। রামকার্ডের কথা বলছেন। কিন্তু ফুটবলে তো ইয়েলো কার্ড আর রেড কার্ড হয়। রামকার্ড হয় না। আসলে এর মাধ্যমে বিজেপি সবার ধর্মীয় আবেগ তৈরি করতে চাইছে। আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ এর জবাব অবশ্যই দেবেন।’’