নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে “জয় শ্রী রাম” স্লোগানের গুরুত্বটা আকাশছোঁয়া। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই স্লোগানের তাৎপর্য যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভগবান শ্রী রামের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়া এই রাজনৈতিক তাৎপর্যে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাথা চারা দিয়ে উঠছে বিতর্কও। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অশান্তিতে জড়াচ্ছে “জয় শ্রী রাম” স্লোগান।

জয়
the bengal story

কিছুদিন আগেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে “জয় শ্রী রাম” স্লোগানের ব্যবহার উত্তাপ ছড়িয়েছিল কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের মিছিলেও উঠল বিতর্কিত “জয় শ্রী রাম” স্লোগান। সূত্রের খবর, কলকাতার বিধাননগর এলাকায় প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় বিজেপির তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল এক মিছিলের। আর সেখানেই শোনা যায় ওই স্লোগান। জাতীয় উৎসবের মিছিলে ধর্মীয় তথা রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক।

IMG 20210126 135314

জানা গেছে, বিজেপির ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজারহাটের এমএলএ তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। এদিন তিনি সস্ত্রীক মিছিলে হাঁটেন। দেশের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রার।

স্লোগান বিতর্ককে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। দেশাত্মবোধক মিছিলে কেন এই ধরণের স্লোগান উঠল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “এটা ভারতবর্ষ। আমরা যেরকম জয় হিন্দ, ভারতমাতা কি জয় বলছি, সেইভাবেই জয় শ্রী রাম বলছি”। এখানেই শেষ নয়, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন বিরোধীদের পাকিস্তানে পাঠানোর হুমকিও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এটা পাকিস্তান নয়, এটা ভারত। আর যারা জয় শ্রীরাম শুনে উত্তেজিত হচ্ছেন তাঁদের মোটামুটি পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।”

ভারতীয় গণতন্ত্র যে নরেন্দ্র মোদীর হাতে সুরক্ষিত রয়েছে, সে কথা জানিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর কথায়, “ভারতের সংবিধান যিনি রচনা করেছিলেন তাঁর লক্ষ্য এখন দৃঢ়তার সঙ্গে এদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে সুরক্ষিত আছে। ভারতের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব সমস্ত সুরক্ষিত আছে।”

এদিন সল্টলেক বিধাননগর এলাকায় উত্তোলন করা হয় ৩৯০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা। ১ নম্বর গেট থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা। সেই সঙ্গে তেরঙা পতাকা ও বেলুন সহযোগে আয়োজিত মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত কয়েকশো মানুষ।