নিজস্ব সংবাদদাতা: আপাতত ভারতে করোনার দাওয়াই হিসাবে দুটো ভ্যাকসিনই বাজারে এসেছে। একটি সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, অপরটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। তবে টিকার ঘাটতি দেশজুড়ে। এদিকে, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই করোনার টিকাকরণে গতি আনতে প্রয়োজন উৎপাদন বাড়ানো। আর কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বাড়ানোর কথা ভেবে এবার অন্য সংস্থাকেও আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। ভারত বায়োটেকের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন সরকারের পরামর্শদাতা এবং নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল।

নীতি আয়োগের ওই সদস্য বলেছেন, ‘‘অনেকেই বলছেন অন্য সংস্থাকেও কোভ্যাক্সিন তৈরি করতে দেওয়া উচিত। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভারত বায়োটেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারাও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।’’ এর পর তিনি বলেছেন, ‘‘এই টিকা তৈরির পদ্ধতিতে জীবন্ত ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। বায়োসেফটি লেভেল ৩ পরীক্ষাগারেই তা করা সম্ভব। তবে সব সংস্থার এই ধরনের পরীক্ষাগার নেই। যাদের আছে, তাদের আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যারা টিকা তৈরি করতে ইচ্ছুক, তাদের একত্রে এই কাজ করা উচিত।’’ কেউ নিজে থেকে এগিয়ে এলে কেন্দ্রও সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল, আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি করোনা টিকা তৈরি করা হবে। এই ঘোষণার এক দিন পরই অন্য সংস্থাকে টিকা তৈরির জন্য আমন্ত্রণের বিষয়টি সামনে এল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের ভারত ইমিউনোলজিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল কর্পোরেশন লিমিটেড আগামী দিনে কোভ্যাক্সিন তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, কাজ শুরু হওয়ার পর প্রতি মাসে ২ কোটি টিকা তৈরি হবে সেখানে। উল্লেখ্য, আপাতত ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষের নীচে নামলেও গত দু’দিন ধরে মৃত্যু হচ্ছে চার হাজারেরও বেশি। তাই এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ কিছুটা হলেও শ্লথ হয়েছে।