নিজস্ব সংবাদদাতা- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে কার্পেট বোম্বিং শুরু করল বিজেপি। না এটা কোনো হিংসার ঘটনা নয়, এখানে বোমাবাজির পুরোটাই হল নেট দুনিয়ায়। বিজেপির এ রাজ্যের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আজ বিকাল থেকেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে প্রায় একই ভাষায় টুইট করতে শুরু করে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও এই স্রোতে স‌ওয়ার হন। প্রত্যেকেরই বক্তব্য সাহস থাকলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ‌নন্দীগ্রাম থেকেই কেবলমাত্র প্রতিদ্বন্দিতা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রথম টুইটটি করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। ঘটনাচক্রে তিনি এ রাজ্যের সহকারি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তিনি ইংরেজিতে টুইট করেছিলেন। এরপরই কৈলাস বিজয়বর্গীয় হিন্দিতে একই প্রসঙ্গে টুইট করেন। তারপর একে একে মুকুল রায়, লকেট চ্যাটার্জি, বাবুল সুপ্রিয়, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী একই বিষয়ে টুইট করতে শুরু করেন। ঘটনা হল তাদের প্রত্যেকেরই টুইটের ভাষা প্রায় এক ছিল। একটি দুটি শব্দ এদিক-ওদিক বাদ দিলে বোঝাই যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় স্তর থেকে টুইটের ভাষা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের থেকে একটু দেরিতে হলেও ঠিক সন্ধ্যের মুখে একই রকম টুইট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ।

কার্পেট,

টুইটে লেখা ছিল, “মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রাম থেকে তার প্রার্থীপদ ঘোষণা করেছেন। যদি তিনি নন্দীগ্রাম থেকে জেতার বিষয়ে এতই নিশ্চিত থাকেন, তবে ঘোষণা করুন তিনি শুধু এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন, যাতে পরে তিনি নিজের কথা থেকে সরে না আসেন।
নইলে তিনি কী করবেন জানা আছে….”

রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই টুইট করার মধ্য দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে দলের প্রথম সারির সমস্ত নেতা একই বিষয়ে প্রায় একই লেখা টুইট করায় স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে এই বিষয়টি যথেষ্ট আলোড়ন ফেলতে পারে। পাশাপাশি রাজ্যের নিরপেক্ষ ভোটারদের একাংশ ভাবতে পারেন কেন কেবলমাত্র নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করছেন না তৃণমূল নেত্রী? তবে কি তিনি নন্দীগ্রামে হেরে যেতে পারেন বলে আশঙ্কিত?

20210220 204027

একই সুরে টুইট করে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর কতটা চাপ তৈরি করতে পারল তা আগামী দিনে বোঝা যাবে। কিন্তু এটুকু পরিষ্কার এ রাজ্যের ভোটযুদ্ধে জয় লাভ করার উদ্দেশ্যে টুইটে এরকম কার্পেট বোম্বিংয়ের আরও কিছু নমুনা আগামী দিনে রাজ্যবাসী দেখতে পাবে।