নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ সকালে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। তড়িঘড়ি তাঁকে বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অল্পক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয় মন্ত্রীকে। আপাতত তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

সাধনের ঠিক কী হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সত্তরোর্ধ্ব এই নেতা বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর মিলেছে, বুধবারই প্রতিষেধক নিয়েছিলেন সাধন। তারপর প্রচারেও বেরোন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্বাসকষ্ট এবং গায়ে-হাতে ব্যথা অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, এর আগে, বুধবারই শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তৃণমূলের কামারহাটির প্রার্থী মদন মিত্র। তাঁরও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রাতে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

গতকাল সকালে তিনি প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে খবর মিলেছে, তাঁর বুকে হাই রেজোলিউশন কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি করা হয়। এরপর সেই এইচআরসিটি স্ক্যানেই তাঁর বুকে করোনার পেরিফেরাল প্যাচ ধরা পড়ে। গতকাল রাতেই হাসপাতাল সূত্রে খবর মেলে, রাতে অত্যন্ত শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এই তৃণমূল নেতা।

প্রসঙ্গত, পঞ্চম দফার ভোট মিটতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদন মিত্র। গত শনিবার বিকেলে কামারহাটির পার্টি অফিসের ভিতরে আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। সেই সময় তড়িঘড়ি তৃণমূল প্রার্থীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকও এসেছিলেন পার্টি অফিসে। কিন্তু সেই শ্বাসকষ্ট না কমাতেই বুধবার তাঁকে ভর্তি হতে হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

রাতে এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রতি মুহূর্তে ৮ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছিল তাঁর। এমনকি রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও বেশ কম ছিল। এছাড়া, হৃদস্পন্দনও স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর শুকনো কাশি রয়েছে। রয়েছে বুকে জ্বালা ভাব। গভীরভাবে শ্বাস টানতে, শ্বাস ধরে রাখতে ও ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মনে করা হচ্ছে গভীর করোনা সংক্রমণই এর প্রধান কারণ। সংক্রমণ ও প্রদাহের ফলে ফুসফুসের কিছু অংশের স্থায়ী ক্ষতি হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর।