মধ্যপ্রদেশে যাত্রীবাহী একটি বাস নর্মদা নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় 12 জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন, এবং 15 জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে ইন্দোরে আসা বাসটি জেলার খালঘাটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে নর্মদাতে পড়ে যায়, যাতে 50 জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল। মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে। নর্মদায় প্রবল স্রোতের কারণে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে মহারাষ্ট্র সরকারের একটি রোডওয়েজ বাস ছিল, যা ইন্দোর থেকে পুনে যাতায়াত করতো। মা নর্মদার সেতুতে ব্রেক ফেইলিওর নাকি স্টিয়ারিং ফেইলিউর হয়েছে সেটা তদন্তের বিষয়। এখনও পর্যন্ত 50-55 আরোহীর উপস্থিতির রিপোর্ট রয়েছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রা-মুম্বই (AB road) হাইওয়েতে। এই রাস্তাটি ইন্দোরকে মহারাষ্ট্রের সাথে সংযুক্ত করেছে। ঘটনাস্থল ইন্দোর থেকে 80 কিলোমিটার দূরে। যে সঞ্জয় সেতু থেকে বাসটি পড়েছিল সেটি ধর ও খারগোনের দুই জেলার সীমান্তে নির্মিত। এর অর্ধেক খালঘাটে (ধর) এবং অর্ধেক খালতাকায় (খরগোনে)। খারগোনের কালেক্টর এবং এসপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
সকাল দশটার দিকে ধামনোদের খালঘাটের কাছে নর্মদা নদীতে যাত্রী ভর্তি এই বাস পড়ে যায়, যেটি ইন্দোর থেকে পুনে যাচ্ছিল। বিমানটিতে নারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন। এখনও পর্যন্ত 12টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধামনোদের খালঘাটে দুই লেনের সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নর্মদায় পড়ে যায়। এই সেতুটি অনেক পুরোনো বলে জানা গেছে এবং বাসটি মহারাষ্ট্র রাজ্য পরিবহনের।
বলা হচ্ছে, সেতুর ওপর অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খলঘাট পার্শ্ববর্তী আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ইন্দোর এবং ধর থেকে NDERF টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনকে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।