নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে পশুখাদ্য মামলায় জামিন পেলেন লালুপ্রসাদ যাদব। এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লালুর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। তবে শনিবার ‘দুমকা ট্রেজারি’ মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। মোট চারটি পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লালু। তবে এবার তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কারণ পুরনো তিনটি মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন তিনি। দুমকা কোষাগার থেকে ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বেআইনি ভাবে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দু’টি ধারায় ৭ বছরের জেল হয়েছিল তাঁর।

পশুখাদ্য দুর্নীতি-কাণ্ডে মোট চারটি মামলায় জর্জরিত হয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে জেলবন্দী রয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। যদিও কারাবাসের বেশিরভাগ সময়টাই ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে (রিমস) কাটিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় এ বছর জানুয়ারি মাসে দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ সরিয়ে আনা হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে সেখানেই রয়েছেন তিনি। তবে, লালুর কারাবাসের জন্য বরাবরই বিজেপি এবং নীতীশ কুমারকে কাঠগড়ায় তুলে আসছে তাঁর দল আরজেডি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ষড়যন্ত্র করে লালুকে জেলে ঢোকানো হয় বলে একাধিক বার দাবি করতে দেখা গিয়েছে দলের নেতাদের।

উল্লেখ্য, লালুর অনুপস্থিতিতে এত দিন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব। গতবছর তাঁর নেতৃত্বেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পায় আরজেডি। দীর্ঘ চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে ২০২০-তেই প্রথমবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যায়নি লালুকে। তবে হাসপাতালে বসেই তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে সেই সময়। এমনকি নির্বাচনী টিকিট পেতে হাসপাতালের বাইরে আরজেডি নেতাদের ভিড়ের ছবিও সেইসময় উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, ফোনে লালু বিরোধী পক্ষের নেতাদের দলে টানার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি।