নিজস্ব সংবাদদাতা: গত রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ভয়ঙ্কর হড়পা বানের পর থেকেই নিখোঁজ মালদহের ১ শ্রমিক। আনেশ শেখ নামের ওই ব্যক্তি মালদহের ইংরেজবাজারের ভগবানপুরের বাসিন্দা। গত আটমাস ধরে উত্তরাখণ্ডের তপোবন এলাকায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। গত শনিবার সকালে শেষবার টেলিফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা হয় আনেশের। কিন্ত, হড়পা বানের পর থেকেই তাঁর কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পরিবারের লোকজন। দুর্ঘটনার খবর জানার পরই উত্তরাখণ্ডে রওনা হয়েছেন নিখোঁজ আনেশের দুই ভাই। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারেও। উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন আনেশের গ্রামবাসীরাও। ওই নিখোঁজ শ্রমিকের বিষয়ে জানার পর খোঁজখবর শুরু করেছে মালদহ জেলা প্রশাসনও

 উত্তরাখণ্ড

জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর গ্রামে বসবাস নিখোঁজ  আনেশের পরিবারের। তাঁর পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে নাসিব শেখ নঘরিয়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া। মেয়ে নাসিমা খাতুন একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। গত নভেম্বর মাসে শেষবার বাড়িতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপর ডিসেম্বর মাসে ফের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজে যোগ দিতে উত্তরাখণ্ডে ফিরে যান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পে কাজের সুবাদে মাসে প্রায় ২৩ হাজার টাকা বেতন পেতেন। কিছুদিন পরেই তাঁর বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। এরইমধ্যে রবিবার উত্তরাখণ্ডে হড়পা বানের ঘটনা জানতে পারে পরিবার। তারপর থেকেই আনেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, আর কোনও রকম যোগাযোগ করা যায়নি।

এই ঘটনার জেরে শোকাচ্ছন্ন পরিবার। আনেশের খোঁজ না পাওয়া অবধি উদ্বেগ কাটছেনা কারোরই। ঘটনা জানার পর উত্তরাখণ্ডে গিয়েছেন আনেশের দুই ভাই একরামুল শেখ ও সিকিম সেখ। তবে এখনও কোনো রকম খবর পাননি পরিজনেরা। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাবলু শেখ জানান, ওই শ্রমিকের পরিবার আর্থিকভাবে তেমন স্বচ্ছল নয়। আনেশ পরিবারে প্রধান রোজগারে ব্যক্তি। শ্রমিকের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন নিখোঁজ শ্রমিকের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনমতো সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। আপাতত প্রশাসনের তরফে পরিবারকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সেই নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।