করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা ভারতে এমনভাবে আছড়ে পড়েছে যাকে সুনামি বলাই যায়। দৈনিক নয়া আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ৩০ হাজার ছাড়াল। এর মাঝেই আশঙ্কার খবর শোনাল আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। যে গবেষণা যদি মিলে যায়, তাহলে দেশকে আরও ভয়াবহ দিন দেখতে হতে পারে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের IHMI-র গবেষণা অনুযায়ী , মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে করোনায় দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারে চলে যেতে পারে। আর সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যাবে ৮-১০ লক্ষে।

গবেষণাও বলা হয়েছে ১২ এপ্রিল থেকে ১ অগস্ট পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে। যার ফলে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ভারতে দৈনিক করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি হবে। এই গবেষণা পত্রে ভারতে করোনার দাপট কতটা বাড়তে চলেছে, তা নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এর নির্যাস হল- মে-র মাঝামাঝি সময়তে দেশে মৃত্যু সংখ্যা পৌঁছে যাবে ৫ হাজার ৬০০ তে, এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা। এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে মৃত্যু হবে প্রায় ৩ লাখ করোনা আক্রান্তের।

আরও পড়ুন: বাংলায় করোনা আক্রান্ত ১২ হাজার ছুঁইছুই, কমিশনে তৎপরতায় দেরি হয়ে গেল না তো?

এই গবেষণায় আরও জানানো হয়েছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি কোভিডই ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষের রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পঞ্চম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও এই গবেষণাকে ভারতের অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন, এটি নেহাতই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করা হয়েছে। ভ্যাকসিনের ডোজ ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে দেওয়া শুরু হলে, এবং মানুষ আগের চেয়ে অনেক সতর্ক হওয়ায় ওই আশঙ্কার সংখ্যায় যাবে না।

এদিকে, পশ্চিমবাঙলাতেও ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা। বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পাঁচ রাজ্য থেকে আসা বিমানযাত্রীদের জন্য কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার। সোমবার থেকে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও ছত্রিশগড় থেকে বিমানে কলকাতা সহ রাজ্যের যে কোনও বিমানবন্দর থেকে এলে কোভিড টেস্ট নেগেটিভ থাকা বাধ্যতামূলক হচ্ছে।