২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূল রাজ্যের ২৯১ টি কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আজ। তাতে দেখা যায় দলের ২৭ জন বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতা টিকিট পাননি। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসুর মতো যারা যোগ্য অথচ বয়সের কারণে ও কিছু সাংগঠনিক কারণে টিকিট পাননি তাদের বিধান পরিষদ তৈরি করে জিতিয়ে আনা হবে।”
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বলছে দলের টিকেট প্রত্যাশীদের ক্ষোভ প্রশমনে করার জন্যই তৃণমূল নেত্রী বিধান পরিষদের প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত দলের মধ্যে ক্ষোভ ধামাচাপা দিতেই সম্ভবত বিধান পরিষদের প্রস্তাব সামনে নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একুশের নির্বাচনের পর তৃণমূল যদি আবার পশ্চিমবঙ্গের সরকার গঠন করতে পারে সে ক্ষেত্রে তিনি নিশ্চয়ই বিধান পরিষদ তৈরি করবেন। না হলে দলের ভাঙ্গন আটকানো তার পক্ষে মুশকিল হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি যোগ্য অথচ বিধানসভার সদস্য নয় এমন ব্যক্তিদেরকে মন্ত্রিসভায় আনতে হলে বিধান পরিষদ একটি আদর্শ জায়গা হবে।
যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের ঘোষণাকে কটাক্ষ করে বলছেন তৃণমূল নেত্রী দলের বয়স্কদের জন্য ‘বৃদ্ধাশ্রম’ তৈরীর উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন। যদিও বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে।