নিজস্ব সংবাদদাতা:একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক বাদানুবাদে ততই যেন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার পরিস্থিতি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের ঝড় তুলছেন নেতারা। দলবদলের কালো মেঘে স্বস্তিতে নেই শাসক শিবিরও। আর সেই দুর্বলতাকেই হাতিয়ার করে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধীরা। এমতাবস্থায় শীতের মরশুমে ভোট পূর্ববর্তী বঙ্গ রাজনীতির রংবদলের কিসসা ফুটে উঠল বাঙালির প্রিয় মিষ্টিতেও।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আর আড়াই মাসও বাকি নেই। ভোট যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন রাজনৈতিক নেতাদের মতিগতি বোঝা ভার। আজ যে নেতা রয়েছেন তৃণমূলে, কাল তাঁর গলাই শোনাচ্ছে বেসুরো। পরদিনই হয় তো বা তিনি হাতে তুলে নিচ্ছেন গেরুয়া পতাকা। ভোটের আগে নেতাদের এই রংবদলকে থিম করেই পুলিপিঠে বানালেন হাওড়ার এক মিষ্টির কারিগর। নাম ‘ভোলবদল পিঠে’। রাজনীতির রঙের খেলা এই পিঠেতে ফুটে উঠেছে হুবহু। আর তাই শীতের মরশুমে এবার সুপারহিট ‘ভোলবদল পিঠে’।
হাওড়ার রামরাজাতলার এক মিষ্টির দোকানে সম্প্রতি পৌষ পার্বণ উৎসব উপলক্ষ্যে তৈরি হয়েছে অভিনব এই পিঠে। পিঠের ওপরে রয়েছে সবুজ চালগুঁড়ির মোড়ক, কিন্তু তা ভেদ করে ভেতরে ঢুকলেই বেরিয়ে পড়ছে গেরুয়া রং। ভিতরের গাজরের পুর নজর কেড়েছে রসিক মহলের। তাই ভোটের আগে দেদার বিকোচ্ছে ‘ভোলবদল পিঠে’।
জানা গেছে, অভিনব এই পিঠে তৈরি করেছেন শুভময় মল্লিক। নিছক মজার ছলেই এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর জবাব, “মজার ছলেই এই পিঠে বানিয়েছি। আসলে রাজনৈতিক নেতাদের এখন যেমনটা দেখছি, বাইরেটা একরকম আর ভিতরে আরেক। তাই ভাবলাম এটা পিঠেতেও করা যেতে পারে।”
তবে কারিগর স্বয়ং মজার ছলে বানালেও ‘ভোলবদল পিঠে’ সাড়া ফেলেছে রাজনৈতিক মহলেও। বিশেষত হাওড়ার রাজনীতির দিকে চোখ রাখলে অনেকেই একে মজা হিসেবে দেখতে চাইছেন না। লক্ষ্মীরতন শুক্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বৈশালী ডালমিয়া, হাওড়ায় ঘাসফুল শিবিরের ক্ষতটা বেশ জোরদার।ক্রেতারা প্রত্যেকেই ১০ টাকা দামের এই পিঠে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন সোৎসাহে। রাজনীতির রংবদলের রঙ্গ উপভোগ করতেই বিকোচ্ছে ‘ভোলবদল পিঠে’।