নিজস্ব সংবাদদাতা: মানুষের ভোটে জয়লাভ করে গতকালই রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই এ দিন দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন মমতা। তিনি বলেন, “বাংলা শান্তিপ্রিয় জায়গা। নির্বাচন হয়েছে, তাতে হার-জিত থাকে। আবহাওয়া কখনও ঠান্ডা-গরম হয়েছে। বিজেপি, কেন্দ্রীয় বাহিনী অনেক অত্যাচার করেছে। তা সত্ত্বেও আমি সবাইকে বলব শান্ত থাকতে। এখন আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে কোভিডের মোকাবিলা করা।” শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আজ এই বার্তা দিলেন সঙ্গীত শিল্পী শিলাজিৎ মজুমদারও। তাঁর একটাই প্রার্থনা, “উৎসব হোক, উল্লাস হোক, কিন্তু উৎশৃঙ্খলতা যেন না হয়।”

টান টান স্নায়যুদ্ধ, উত্তেজনার লড়াই শেষে বিজয়ী তৃণমূল। শিলাজিৎ বলছেন, “আমার একটাই কথা যারা জিতুক বিজয় উৎসব করতে গিয়ে রাজ্যের মানুষেরদের ঘরে ঘরে আরও বেশি করোনা যাতে না ছড়িয়ে পড়ে এটা দেখা নির্বাচিত দলের দায়িত্ব। এছাড়া এই গোটা ভোট পর্ব চলাকালীন রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে আমরা যা দেখেছি বা যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যেন এই ভোট পরবর্তী সময়ে আর না হয়। হিংসার এবার শেষ হোক। শাসক-বিরোধী সব পক্ষই বারবার বলেছে এবার দেশের সিংহভাগ জনগণ ঘর থেকে বেরিয়ে ভোটবাক্সে নিজেদের মত দিয়েছে। অতএব বাংলার জনগণের এই রায়কে মান্যতা দিয়ে এবার অন্যসব কিছু ছেড়ে বাংলার উন্নয়নের দিকে নজর দিক নতুন সরকার। সবাই সামলে থাকিস, ঠাণ্ডা হয়ে চল।”

বীরভূম এবং কলকাতায় বেড়ে ওঠা এবং গান গেয়ে গোটা বাংলা মাতানো শিলাজিৎ-র সাফ জবাব, “আমি রাজনীতি অত বুঝি না। তবে নব নির্বাচিত সরকারের কাছে আমার ১০ দফা দাবী আছে, আমি শীঘ্রই তা পেশ করব।” উল্লেখ্য, এবার ভোটের আগে পরিস্থিতি দেখেই তাঁর মনে হচ্ছিল এই নির্বাচনে নিজেদের শক্তি কয়েক গুণ বাড়াবে বিজেপি। এদিকে হলোও ঠিক তাই। মাত্র ৩টি থেকে বিজেপি এখন সত্তরোর্ধ্ব আসন নিয়ে বিধানসভায় যাবে। এদিকে, কংগ্রেস আর সিপিআইএম আইএসএফের সঙ্গে জোট গড়েও বাংলার মানুষের মনে কোনও দাগ কাটতে পারেনি।

তাই শিলাজিৎ স্পষ্ট বলছেন, “নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ঝান্ডা নিয়ে ডাণ্ডা নিয়ে আর কোনও বাওয়াল যেন না হয়। দুটো পক্ষ চালাবে রাজ্য। একদল শাসক অপর জন বিরোধী। একজন শাসকের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে আর আরেকজন রাজত্ব করবে।” পাশাপাশি তিনি বলছেন, “এবারের ভোটের শুরু থেকে যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা আমরা শুনে আসছি তা দেখার সুযোগ ভোটের পরেও হতে পারে। ওরা যদি রাজ্যের ভাল চায় তবে ওরা শাসক বিরোধীও ডবল ইঞ্জিন হয়ে কাজ করুক।”