মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা এখনও অটুট। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের 144টি আসনের নির্বাচনের ফলাফলও তাই বলছে। নাগরিক সংস্থায় ক্লিন সুইপ করে, তৃণমূল কংগ্রেস 134টি আসন জিতেছে। শুধু তাই নয়, তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এইভাবে কলকাতা নাগরিক নির্বাচনে 137টি আসনে জিততে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ফলাফল বিজেপির জন্য একটি বড় ধাক্কা, যেটি মাত্র তিনটি আসনে জিততে পেরেছে। তা ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চেয়ে কংগ্রেস ও সিপিএমের অবস্থা খারাপ হয়েছে। উভয় দলই মাত্র ২টি করে আসন পেতে পারে।

কলকাতা সিভিক ইলেকশনে বাড়ানোর বদলে আরও কমেছে বিজেপি। ৫ বছর আগে এখানে ৫টি আসনে জয়লাভ করলেও এবার হেরেছে আরো দুটি আসনে। এদিকে, 135 নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী রুবিনা নাজও টিএমসিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার স্বামীও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। এছাড়াও আরও দুই স্বতন্ত্র বিজয়ী পূর্বাসা নস্কর এবং আয়েশা কানিজও তৃণমূলের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূল নেতা ইরফান আলী তাজের স্ত্রী কানিজ বলেন, আমরা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে থাকলে আমাদের এলাকার মানুষের জন্য আরও কাজ করতে পারব।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিকে, পরিবহন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ফের শহরের নেতৃত্ব দিতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। যদিও তাঁকে মেয়র করার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ফিরহাদ হাকিম টানা চতুর্থবার 82 নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন। কলকাতা সিভিক ভোটের ফলাফলের পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় চলে যান। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় কলকাতায় আমাদের দলের সভা হবে। এতে আমরা সিটির নতুন মেয়র নির্ধারণ করব।

টিএমসি সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, একাই 92.36% ভোট সংগ্রহ করেছে

ভোট ভাগের দিকে নজর দিলেই তৃণমূলের অসাধারণ সাফল্য প্রকাশ পায়। নাগরিক নির্বাচনে টিএমসি একাই 92.36% ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপিকে 2 শতাংশ ভোটে এবং কংগ্রেস ও বামেদের 1.39 শতাংশ ভোটে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। বিজেপি শুধুমাত্র 22, 23 এবং 50 নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছে। এছাড়াও 45 ও 137 নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস জিতেছে। ৯২ ও ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে বাম দলগুলো।