নিজস্ব সংবাদদাতা- মহারাষ্ট্রের নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করার পরেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করল সে রাজ্যের সরকার। যাতে প্রথম পর্যায়ের মতো রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে না যায় সেজন্য মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার সাংবাদিকদের জানান জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারাই বাড়ির বাইরে মাস্ক না পরে বেরোবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যেন কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেইসঙ্গে প্রয়োজনবোধে জেলাশাসকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে জেলায় সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করতে পারে।

দেশে করোনা সংক্রমনের একেবারে প্রথম দিক থেকে আজ পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে অবস্থান করছে মহারাষ্ট্র। নতুন বছরের শুরুর দিক থেকে দেশে করোনা সংক্রমনের হার ক্রমশ কমছিল, কিন্তু গত তিন-চার দিন ধরে তা আবার ঊর্ধ্বমুখী।পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে গতকাল মহারাষ্ট্রের দুটি জেলা প্রশাসন নতুন করে লকডাউনের কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এই অবস্থায় আজ জেলা শাসকদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেন অজিত পাওয়ার। সেখানেই তিনি মাস্ক পড়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের হাতে লকডাউন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের যাবতীয় ক্ষমতা তুলে দেন।

মারাঠা নায়ক ছত্রপতি শিবাজীর জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই এনসিপি নেতা। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের কাছে করোনা প্রতিরোধে নতুন ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। এও জানিয়েছেন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অফিসার ও মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন বলেও উল্লেখ করছেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ওই বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মহারাষ্ট্রের নতুন করে রাজ্যব্যাপী লকডাউন জারি করার দরকার আছে কিনা।

ছত্রপতি শিবাজীর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অজিত পাওয়ার বলেন, “গত এক বছর ধরে শিবরাত্রি সহ নানান উৎসব-অনুষ্ঠান রাজ্যের মানুষজন যেভাবে সংযমের সঙ্গে পালন করেছে বাইরে না বেরিয়ে, তার জন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি নিশ্চিত বর্তমান সময়ে শিবাজী থাকলে তিনিও এমন কিছু করতেন না যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত।”