নিজস্ব সংবাদদাতা- দলের বিরুদ্ধে এবার ফুঁসে উঠলেন মধ্য কলকাতার যুব তৃণমূল নেতা সজল ঘোষ। একসময় তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী রাজ্য সভাপতি ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দলীয় রাজনীতিতে তিনি যে প্রবল কোণঠাসা তারা তার ফেসবুক পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। হতাশা ও আক্ষেপের কথা জানিয়ে বুধবার রাতে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ লেখা পোস্ট করেন তিনি। সেই লেখাতেই পরিষ্কার জানিয়েছেন, “সিরাজদ্দৌলা হতে চাই, কিন্তু না পারলে মীরজাফরকে সেলাম।”

মীরজাফরকে সেলাম করার কথা পড়ার পরেই তৃণমূলের অভ্যন্তরে জল্পনা শুরু হয়েছে তিনি হয়তো বিজেপির দিকে পা একরকম বাড়িয়েই রেখেছেন। প্রসঙ্গত সজল ঘোষ হলেন মধ্য কলকাতার এক সময়ের দাপুটে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষের ছেলে। প্রদীপবাবু কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। মাঝখানে বিজেপিতে গেলেও আবার তৃণমূলের ফিরে এসেছেন তিনি। প্রদীপ বাবুর হাত ধরেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দূর্গা পুজোয় প্রবেশ সজলের। বর্তমানে তিনিই এই পুজো কমিটির প্রধান কর্তা। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের বসতবাড়ি আমহার্স্ট স্ট্রীট সহ শিয়ালদা ও কলেজ স্কোয়ার অঞ্চলে প্রদীপ ঘোষ ঘোষ-সজল ঘোষদের দীর্ঘকালীন একটি প্রভাব আছে।

সজল বাবু ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলে সামিল হওয়া টলিউড তারকাদের নিশানা করেন। তিনি লেখেন, “কলেজে এসএফআইয়ের সঙ্গে লড়াই করে ভুল করেছি। তা না করে কোনোরকমে চেষ্টাচরিত্র করে টলিউডের যদি ফোর্থ গ্রেট আর্টিস্ট‌ও হতে পারতাম তাহলে আজ দলে অনেক কদর থাকত।” বোঝাই যাচ্ছে একের পর এক টলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীর তৃণমূলের নানান গুরুত্বপূর্ণ পদে সামিল হওয়ার ঘটনাটিকে তিনি বা তারা খোলা মনে মেনে নিতে পারছেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি সুজাতার খাঁ-এর প্রসঙ্গ‌ও টেনে এনেছেন।

সজল ঘোষ তার ওই ফেসবুক পোস্টে জানান একসময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী রাজ্য সভাপতি থাকলেও বর্তমানে তিনি ওয়ার্ড তৃণমূলের কোনো দায়িত্বেও নেই। ওই পোস্টেই পরিষ্কার জানিয়েছেন দল তাদের সঙ্গে ন্যায় বিচার করেনি। তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু না লিখলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে আর কিছুদিনের মধ্যেই তার গেরুয়া শিবিরের সামিল হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।