নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমনে রাজনৈতিক অশান্তি হোক কিংবা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের স্বীকৃতি লাভ, বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আর যাদবপুরের এই খ্যাতির সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি হয়তো তার বহুমুখিতা। পড়াশোনা, রাজনীতি আর মানবসেবা হাত ধরাধরি করে হাঁটে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে। এদিন আরো একবার সামনে এল সেই দৃষ্টান্ত।

২০২০ সাল জুড়ে হাজারো বিপর্যয়ের মধ্যে অন্যতম ছিল আমফান সাইক্লোন। ঘন্টায় প্রায় ১৭০ কিলোমিটার বেগে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই বিধ্বংসী ঝড়ের পর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। কুড়ি পেরিয়ে একুশে পা দিলেও কিছু কিছু এলাকায় ভয়াবহ সেই বিপর্যয়ের রেশ এখনও কাটেনি। আমফান বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেই সমস্ত মানুষের পাশেই এবার দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়ারা

যাদবপুর

আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ৫০০ বাড়ি বানিয়ে দেবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল প্রাক্তনী, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। উদ্যোক্তারা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯১ সালের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া। সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে তাঁরা এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু এলাকাতেই নিজেদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টায় বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কাজ করবেন তাঁরা। ইতিমধ্যে এর জন্য টাকা জোগাড় করার কাজ শুরু হয়েছে।

যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই প্রাক্তনী দল নিজেদের উদ্যোগকে “ছাদ প্রকল্প” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৫০০ বাড়ি বানাবেন তাঁরা। প্রতি বাড়িতে থাকবে ২টি করে ঘর ছাড়াও রান্নাঘর এবং শৌচাগার। বাড়ি প্রতি আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শিক্ষক তথা সাধারণ মানুষ সকলেই।

বস্তুত, আমফান বিপর্যয়ের পর প্রায় এক বছর হতে চলেছে। কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকারের তরফ থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও বহু মানুষই যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাননি বলে দাবি ওঠে নানা মহল থেকে। এহেন পরিস্থিতিতে দুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ফের প্রশংসা কুড়োচ্ছে যাদবপুর।